টিকিট আছে, তবুও মাঠে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশিদের
টিকিট হাতে নিয়েও মালে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারছেন না বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকিট নিয়ে ভোগান্তির যেন আর কিছুই বাকি রইলো না। বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য অল্প সংখ্যক টিকিট বিক্রি করেছিল মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। মালদ্বীপের অনেক নাগরিক আবার নিজেরা কিনে সেই টিকিট বাংলাদেশিদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেছে। বাংলাদেশিরা চড়া দামে টিকিট কিনেছেন।
ওই টিকিটধারীদের স্টেডিয়াম ও মালদ্বীপ প্রশাসন প্রবেশ করতে দেয়নি। মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য আগেই ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশিদের জন্য আই ও জে এই দুই ব্লকের টিকিট বিক্রি হবে। এর বাইরে কেউ গ্যালারিতে আসতে পারবেন না।
বাংলাদেশিদের স্টেডিয়ামের এক পোস্টের পেছনের কিছু অংশে বসতে দেয়া হচ্ছে। গ্যালারির মাঝের পুরোটা ইতোমধ্যে ভরেছে স্বাগতিক মালদ্বীপের সমর্থকদের দ্বারা।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা কিছুটা ঝুঁকি নিয়েও টিকিট কিনেছিলেন। টিকিট থাকলে গ্যালারিতে গিয়ে জামালদের সমর্থন দেওয়া যাবে, এমনটাই ভাবনা ছিল তাদের। সেই আশা শেষ পর্যন্ত ফিকেই হচ্ছে। ম্যাচ চলার আগ পর্যন্ত প্রবাসীরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও মালেস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে গ্যালারিতে প্রবেশ করাতে।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা টিকিট হাতে নিয়ে হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘মালদ্বীপের অনেকের আমাদের স্বেচ্ছায় কিছুটা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেছে। আমাদের বৈধ টিকিট, ভ্যাকসিন কার্ড, পারমিট সবই রয়েছে। এরপরও স্টেডিয়াম ঢুকতে না দেওয়াটা খুব দুঃখজনক।’
বাংলাদেশ হাই কমিশনকে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মাত্র দশটি টিকিট দিয়েছে এই ম্যাচে। বাংলাদেশের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের অনেক পরিচিত লোকজন থাকেন মালদ্বীপে। বাফুফেকেও স্বল্প সংখ্যক টিকিট দিয়েছে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। আজ মালদ্বীপের জাতীয় দিবস হওয়ায় সরকারি ছুটি। আজকের ম্যাচ দেখতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির আসার কথা রয়েছে।
এজেড/এমএইচ