পিএসজিতে যোগ দিয়ে ‘নষ্ট ছেলে’ হয়ে গেছেন নেইমার
বার্সেলোনায় যখন ছিলেন, দারুণ নৈপুণ্যই দেখাচ্ছিলেন নেইমার। ২০১৫ সালের ব্যালন ডি’অর সংক্ষিপ্ত তালিকায় যখন এলেন, লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল তাকেই। কিন্তু ২০১৭ সালে নেইমার পাড়ি জমালেন পিএসজিতে, এরপর থেকে ব্যালন ডি’অরের শীর্ষ তিনে আর কখনোই দেখা যায়নি তাকে। পিএসজি কিংবদন্তি এদুয়ার্দ সিসের মতে, পিএসজিতে যোগ দেওয়াটা তার বড় ভুল ছিল। এখানে যোগ দিয়ে নেইমার রীতিমতো ‘নষ্ট ছেলে’ই হয়ে গেছেন বলেও মত দিলেন তিনি!
২০১৭ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে নেইমার রীতিমতো দলবদলের বাজার তোলপাড়ই করে দিয়েছিলেন। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশ্বরেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে নেইমারকে দলে টেনেছিল পিএসজি। তবে এরপর থেকেই যেন নেইমারের ক্যারিয়ারের গ্রাফ গেছে নিচের দিকে। দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে পারেননি, লিগ শিরোপা অবশ্য জিতেছেন, সব মিলিয়ে পিএসজিতে জিতেছেন ১০ শিরোপা; কিন্তু তার জন্যে তো আর পিএসজি তাকে রেকর্ড গড়ে দলে ভেড়ায়নি।
নেইমার তো এখানে নিয়মিত খেলতেও পারেননি। চোট সমস্যা, শৃঙ্খলার অভাবে মাঠের বাইরে কেটেছে তার অনেক বড় এক সময়। মাঠের বাইরের নানা কাজে নেইমার পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পেরেছেন বটে, কিন্তু পারফর্ম্যান্স দিয়ে আসতে পেরেছেন কম সময়ই।
সব মিলিয়ে নেইমার আর আগের নেইমার নেই, মনে করছেন সিসে। সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড ল্য পারিসিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরনো নেইমারের স্মৃতি রোমন্থন করে বললেন, ‘বার্সেলোনায় ওর জন্য খুব সাজানো গোছানো একটা কাঠামো ছিল। সেখানে নেইমার দারুণ ফুটবলও উপহার দিয়েছিল। তখনও অবশ্য অহেতুক ড্রিবল করার প্রবণতাটা ছিল। তবে সেখানে রক্ষণরেখা ভেঙে দেওয়া, পার্থক্য গড়ে দেওয়া, মেসিকে বলের যোগান দেওয়া, এসব দায়িত্ব ছিল তার কাছে। কাজটা ভালোভাবেই করতো সে।’
তবে বার্সায় যে কাজটা নিয়ন্ত্রিত ছিল নেইমারের, পিএসজিতে সে কাজটা আর নিয়ন্ত্রিত থাকেনি। যা খুশি তাই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাকে। যার ফলেই বিগড়ে গেছেন নেইমার, মনে করছেন সিসে। বললেন, ‘প্যারিসে তাকে নিজের ইচ্ছেমতো খেলার লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা পেয়ে সে বিগড়েই গিয়েছিল। তার অসাধারণত্বকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে এখন নেইমার একটা নষ্ট ছেলে, যার কাজই হচ্ছে কেবল অন্যদের ওপর ছড়ি ঘোরানো।’
এনইউ