২০১৬ বিশ্বকাপের সঙ্গে পার্থক্য দেখছেন না মুশফিক
২০১৬ সালের পর আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এক বিশ্বকাপ থেকে আরেক বিশ্বকাপ, মাঝে কেটে গেছে পাঁচ বছর। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে ঘুরেফিরে আলোচনায় ২০১৬ বিশ্বকাপ। যেখানে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ১ রানে ম্যাচ হারতে হয় ভারতের কাছে। সে ম্যাচের পর কাঠগড়ায় উঠতে হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে সেই ম্যাচের কথা কতটুকু মনে রেখেছেন মুশফিক?
নিজের নামে একটি অনলাইন গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রাজধানী একটি হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুশফিক। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, পাঁচ বছরে কতটুকু পরিণত হয়েছেন তিনি? মুশফিক অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোন পার্থক্য দেখেন না।
মুশফিক বলছিলেন, ‘পার্থক্য বলতে দাড়িগুলো একটু বড় হয়েছে, এটা বলতে পারেন। চুল একটু কমে গেছে, এটা বলতে পারেন (হাসি)। তবে ক্রিকেটার হিসেবে একজন যত খেলবে ততই শিখবে, আমিও এর ব্যাতিক্রম কিছু না। আমিও প্রতিদিন চেষ্টা করি নিজেকে উন্নত করার। আমি যত উন্নতি করতে পারব বাংলাদেশ দলকে তত দিতে পারব।’
সঙ্গে যোগ করেন মুশফিক, ‘আমি বিশ্বাস করি যে দলে যত বেশি কন্ট্রিবিউশন করতে পারব, অবশ্যই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব তো সেভাবেই চেষ্টা থাকে। আর আমরা যতবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলিনা কেন এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ যে খুব ভাল একটা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা টি-টোয়েন্টিতে।’
মুশফিক অবশ্য আশাবাদী আগের বিশ্বকাপ তুলনায় এবার আরও ভালো করবেন তিনি। দলীয় অর্জনও আগের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস তার।
মুশফিক বলেন, ‘আমি মনে করি এটা সঠিক সময় এবং সেরা সময়। যেহেতু শেষ তিনটা সিরিজে আমরা জিতেছি দুটি হোমে এবং একটা অ্যাওয়ে। তো এটা অনেক বড় একটা আত্মবিশ্বাস আমাদের দল হিসেবে। অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো যে আগামী বারের তুলনায় এবার যেন আরো বেশি ভালো করতে পারি এবং দলের জয়ে যেন অবদান রাখতে পারি।’
টিআইএস/এনইউ