তবু আফগানদের বিপক্ষে গোলই তপুর চোখে সেরা
ডিফেন্ডার হলেও অনেক ম্যাচের জয়ের নায়ক তপু বর্মণ। আজকের ম্যাচেও তপুর গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তপু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবেই, ‘আমার গোলের পেছনে অবদান টিমমেটদের। আমার গোলে দল জিতেছে, এতেই আমার সন্তুষ্টি।’
ডিফেন্ডার হলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে তপুর পাঁচ গোল। এর চারটিই সাফ ফুটবলে। আরেকটি গত জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পাঁচ গোলের মধ্যে আফগানিস্তানের গোলকেই এগিয়ে রাখলেন নারায়ণগঞ্জের এই তরুণ, ‘প্রতিটি গোলই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরপরও আমার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে করা গোলটিই সেরা।’
২০১৫ সাফে ভূটানের বিপক্ষে তার গোলের অভিষেক। ২০১৮ সাফেও করেছেন দুই গোল। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার গোলেই জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও সাফে গোলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তিনি।
বর্তমানে জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল সংখ্যা পাঁচটিই। ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিলের সঙ্গে তিনি যুগ্মভাবে এই রেকর্ডের ভাগিদার হলেন। সাফে আরো তিনটি ম্যাচ রয়েছে। এই তিন ম্যাচের মধ্যে একটি গোল করলে বর্তমান স্কোয়াডের মধ্যে তিনি হবেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। আরেকটি গোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মূল কাজ গোল সামলানো। পাশাপাশি চেষ্টা করব গোল করার। কোন ম্যাচ হয় সেটাই দেখার বিষয়।’
তপুর আন্তর্জাতিক পাচ গোলের তিনটি পেনাল্টি থেকে। পেনাল্টি থেকে গোল করার ব্যাপারে তার বক্তব্য, ‘অনুশীলনে আমি পেনাল্টি শট নেই। গতকাল বৃহস্পতিবারও ৩-৪টি পেনাল্টি শট প্র্যাকটিস করেছি।’
বাংলাদেশ দল জিতে খানিকটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হওয়ার নেই। শ্রীলঙ্কার র্যাঙ্কিং ২০৫। দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রায় তিন মাস ধরে খেলার মধ্যে নেই। এরপরও বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা গোল পাননি তাদের বিপক্ষে, এমনকি লঙ্কানরা যখন দশ জনের দলে পরিণত হয়েছিল তখনও। আক্রমণভাগের কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্নটা তাই থেকেই যাচ্ছে।
এজেড/এনইউ