শেখ হাসিনার জন্মদিনে কেক কাটলেন পাপন-রিয়াদরা
আজ (মঙ্গলবার) শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কেক কাটা হয়। জন্মদিন উদযাপনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান সোহানসহ অনেকেই।
প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে পাপন বললেন, ‘আমরা তো উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলি ক্রীড়াপাগল। কিন্তু আসলেই তিনি কতটা ক্রীড়াপাগল, এবং খেলাধুলাকে কতটা ভালোবাসেন, সে সম্পর্কে আমাদের কারোরই ধারণা নেই।’
২০১৫ বিশ্বকাপের এক ঘটনা সামনে নিয়ে আসেন পাপন, ‘আমরা যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাই, তখন বাংলাদেশের সময় সম্ভবত ভোর। আমাদের বিজয় (এনামুল হক) ব্যথা পেল খেলতে গিয়ে। উনি (প্রধানমন্ত্রী) সাথে সাথে আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, ওর (বিজয়) কী হয়েছে? আমি অবাক হয়ে বললাম, আপনি এখনো জেগে আছেন? উনি বলেন, আমি খেলা দেখছি। বিজয়ের কী হয়েছে আমাকে জানাও।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘আমি বললাম, বিজয় তো সিরিয়াস ইনজুরড, সে আর খেলতে পারবে না। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে উনি বললেন, তুমি কোথায়? এখনি ওর সঙ্গে হাসপাতালে যাও। আমি বললাম, আমি বক্সে। আমাকে তো যেতে দেবে না। উনি বললেন, তুমি এখনি গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠো। একজন খেলোয়াড় ব্যথা পেয়েছেন বলে তিনি অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন। আমাকে বলছিলেন যে, আমি কেন যাচ্ছি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এমনই ক্রীড়াপ্রেমী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘তিনি সব সময় আমাদের অনুপ্রেরণা জোগান। খেলাধুলার জন্য সব সময়ই নিবেদিত একজন মানুষ। সব সময় ভালো পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করেন। আমরা যখন হারি তখন আমাদের আরো বেশি উৎসাহ দেন যেন পরবর্তীতে ভালো করতে পারি। তিনি মাঠে আসলে অবশ্যই খুব ভালো লাগে। এটা বাড়তি পাওয়া ও বাড়তি অনুপ্রেরণা। তার উপস্থিতি শক্তি জোগায়। আশা করছি ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরণের অনুপ্রেরণা পাবো। সামনেই আমাদের বিশ্বকাপ আছে। আমরা সকলেই তার দোয়া চাচ্ছি যেন, বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারি।’
১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গীপাড়ায় বাংলার চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদীর কোলে-পিঠে।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর পান। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষই যেন তার বৃহৎ পরিবারের পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনার জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হক, তামিম ইকবালসহ অনেকেই।
টিআইএস