নির্বাচনের আগে নিজের অর্জনগুলো তুলে ধরলেন দুর্জয়
সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। বিসিবির এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন তিনি। শেষ ৮ বছরে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে যে কাজগুলো করে সফলতা অর্জন করেছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে সেগুলো ধরলেন দুর্জয়।
আজ (সোমবার) ঢাকা বিভাগ থেকে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দুর্জয় বললেন, ‘আমি আসলে ব্যক্তিগতভাবে বেশ খুশি। আমি এইচপি দলকে নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। কারণ এই জায়গাটাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অন্যন্য দিকগুলোর যেমন প্রয়োজনীয়তা আছে, এইচপিরও ক্রিকেটের উন্নয়নে তেমন প্রয়োজনীয়তা আছে। সেই দিক বিবেচনা করলে আমি অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টের দিকে অতোটা চোখ রাখি না।’
সঙ্গে যোগ করেন দুর্জয়, ‘মূলত ডিপার্টমেন্টের বিষয়গুলো যিনি বোর্ড সভাপতি হন তিনি দেখেন। আমি এইচপি দলের সঙ্গে থেকেই খুশি। বা অন্য কোথাও যদি যিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি মনে করেন বা আমি যদি বোর্ড আসি পরিচালক হয়ে সেটা তো পরের ব্যাপার। সেটার দায়িত্ব বোর্ড প্রেসিডেন্টই নির্ধারণ করবেন।’
দুর্জয় শুরুতে বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দায়িত্ব পান। পরে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আকরাম খানকে সরিয়ে দুর্জয়কে দেওয়া হয় ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের দায়িত্ব। এক বছরের মাথায় আবার অব্যাহতি দেওয়া হয় দুর্জয়কে, পুরোনো দায়িত্ব ফিরে পান আকরাম দুর্জয় জানালেন, এবার নির্বাচিত হতে পারলে এই দুই বিভাগের দায়িত্ব পেলে খুশি হবেন তিনি।
দুর্জয়ের ব্যাখ্যা, ‘আমি দুটা জায়গায় কাজ করেছি, ক্রিকেট অপারেশনসে কাজ করেছি বিশ্বকাপের সময়। সেখানেও আমি সফলভাবে কাজ করেছি। কারণ বিশ্বকাপে ভালো খেলার শুরুটা কিন্তু আমাদের ২০১৫ থেকে। সেখানে ভালো ফলাফল করেছি। এরপর হাই পারফরম্যান্স, জাতীয় দলের পাইপলাইন, তরুণ খেলোয়াড় ৬-৭ জন যারা হাই পরফরম্যান্সকে প্রতিনিধিত্ব করছে এটা কিন্তু আমার জন্য বড় বিষয়।’
নতুন করে পরিচালকের চেয়ারে বসতে গেলে আগে নির্বাচিত হতে হবে দুর্জয়কে। এবার ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার থেকে ক্যাটাগরি-১ এ ভোটের যুদ্ধে নেমেছেন তিনি। যেখানে এই বিভাগে দুই পরিচালকের বিপরীতে প্রার্থী ৪ জন। বাকি তিনজন হলেন; তানভীর আহমেদ টিটু, সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও খালিদ হোসেন।
টিআইএস/এনইউ