শারাপোভার কীর্তি ছুঁয়ে একগাদা রেকর্ডও গড়লেন রাদুকানু
বয়স মাত্র ১৮, তাতেই হাতে তুলে নিয়েছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ইতিহাস তো গড়ারই কথা এমা রাদুকানুর। মারিয়া শারাপোভার গড়া এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। সেখানেই শেষ নয়, আরও অনেকগুলো রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন তিনি।
সদ্যসমাপ্ত ইউএস ওপেনের নারী এককে তিনি সরাসরি খেলার সুযোগ পাননি। বাছাইপর্ব খেলে তবেই আসতে হয়েছে মূল মঞ্চে। সেখানে একটি সেটেও হারেননি তিনি।
মূল পর্বেও খেলতে হয়েছে বেলিন্ডা বেনচিচ, মারিয়া সাক্কারিদের মতো বাঘা বাঘা সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কিন্তু সেখানেও টললেন না তিনি। ফাইনালে শঙ্কা ছিল স্নায়ুচাপের কাছে ভেঙে পড়ার। কিন্তু সেখানে তো টললেনই না, উল্টো সেখানেও ধরে রাখলেন অদম্য যাত্রা; সরাসরি সেটে হারালেন লেইলাহ ফের্নান্দেজকে।
ইতিহাস গড়া হয়ে গেল তাতেই। গেল উইম্বলডনে তিনি চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছিলেন বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসে, গড়া হয়ে গিয়েছিল ইতিহাস। এবার ইউএস ওপেনে সেটা ছাপিয়ে গেলেন, তার শিরোপাজয়ে সোনালি হরফে ইতিহাসটাও লেখা হয়ে গেল নতুন করে। পুরুষ হোক, কিংবা নারী; বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার কীর্তি আর একটিও ছিল না টেনিসে!
রাদুকানু ছুঁয়ে ফেলেছেন রাশান তারকা মারিয়া শারাপোভার কীর্তিও। ২০০৪ সালের উইম্বলডনে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শিরোপা জিতেছিলেন রাশান এই সেনসেশন। এরপর থেকে অন্তত ১৮ বছর বয়সী কারো হাতে ওঠেনি কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। শারাপোভার পর রাদুকানুই প্রথম।
এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছিল ব্রিটিশ সেনসেশনের ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়। উন্মুক্ত যুগে যে এর সমান বা এর চেয়ে কম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলে বাজিমাত করার কীর্তি নেই আর কারো!
ব্রিটিশ এই খেলোয়াড় নিজ দেশে রাজার সম্মান পাবেন, সেটা অনুমিত। কিন্তু গ্র্যান্ড স্ল্যামে ইংলিশ নারীদের রেকর্ডটা শুনলে সে নিয়ে আর কোনো সংশয় থাকার কথা নয় আপনার মনে। ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়েডের উইম্বলডন জয়ের পর থেকে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের এককে শিরোপা ওঠেনি কোনো ব্রিটিশ নারীর হাতে। সে অধরা শিরোপার স্বাদটা রাদুকানু এনে দিলেন মাত্র ১৮-তেই। সম্মানটা তো তার পাওনাই!
এনইউ