পদ্মা পাড়ে শেখ হাসিনার নামে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জেও ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল, তবে এখন আবারও পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করে দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলাগুলোতে আমরা যখন কোন স্থাপনা করতে যাই, সেখানে আবাসনের জন্য সেই স্থাপনাগুলো অকেজো হয়ে থাকে। যেটা আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি। এখানে খেলোয়াড়দের থাকার জন্য স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ডরমেটরিও নির্মাণ করা হবে।’
সঙ্গে আরও বলছিলেন প্রতিমন্ত্রী ‘পাশেই পদ্মা নদী রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই স্থানটি আমাদের পছন্দ হয়েছে। জায়গাটি উঁচু আছে। এখানে আশা করছি ভালো মানের একটি স্টেডিয়াম হবে। একটি স্টেডিয়াম করতে হলে অবশ্য জায়গার মাটিটা কার্যকর কিনা, কি পরিমান নিচে যেতে হবে। সকল কিছু পরীক্ষা করেই এটা করতে হয় এবং এটার জন্য তিন থেকে ছয়মাস সময় লাগতে পারে। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প, সেহেতু আমরা আশা করছি চলতি অর্থ বছরে এই স্টেডিয়ামের কাজ আমরা শুরু করতে পারবো।’
জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করা হবে স্টেডিয়ামটির।
মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জায়গায় একটি স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী এই জায়গাটি চূড়ান্তভাবে পরিদর্শন করা হলো। আগামী ২০২৬ সালের পর থেকে আমাদের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিসহ কয়েকটা আইসিসির টুর্নামেন্ট হোস্ট হওয়ার জন্য ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যে এইসব স্টেডিয়ামগুলো রেডি হয়ে গেলে আমরা সহসাই সেগুলো হোস্ট করতে পারবো।’
পরিদর্শনকালে জাকিয়া তাবাসসুম (এমপি), মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোহেল হোসেন/টিআইএস