ওই চার ফুটবলারের সবাই আর্জেন্টিনা ছেড়ে চলে গেলেন
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইয়ে মাঠের উত্তেজনাটাই থাকে বেশি। কিন্তু এবার মাঠের বাইরের ঘটনাই শিরোনামে। আলোচনাতে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার ও ব্রাজিলের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা আনভিসার। গত সোমবার ম্যাচের আগেই খবর ছিল আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারকে নিয়ে আপত্তি আছে আনভিসার। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে নিয়ে কিছুই বলেনি তারা।
এ কারণেই সুযোগটা নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি দলে রাখেন সেই তালিকায় থাকা তিনজনকে। তারপর আনভিসার কর্মকর্তারা অস্ত্রধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে গ্রেফতারের চেষ্টা করে মার্টিনেজ, রোমেরো ও লো সেলসোকে।
এনিয়েই ফুটবলার আর স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে তর্কের পর হাতাহাতিও হয়। ৫ মিনিট যেতেই স্থগিত হয়ে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচ।
সামনেই বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের আরেক ম্যাচ লিওনেল মেসিদের। শুক্রবার বলিভিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে সতর্ক আর্জেন্টিনা। করোনা কালে স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার নিয়ম নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। এ কারণেই সেই ৪ ফুটবলারকে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সেই ফুটবলারদের নিজ নিজ ক্লাবে ফিরে যেতে বলেছে আর্জেন্টাইন টিম ম্যানেজমেন্ট। তারপরই গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও মিডফিল্ডার বুয়েন্দিয়া অ্যাস্টন ভিলার যোগ দিতে উড়াল দিয়েছেন। ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো চলে যাবেন টটেনহামে। তাদের ছাড়াই আগামী ম্যাচে দল গড়তে হবে আর্জেন্টাইন কোচের।
দেশ থেকে মাদ্রিদ হয়ে ইংল্যান্ডে না গিয়ে ক্রোয়েশিয়ায় যাবেন এই চার আর্জেন্টাইন। ইংল্যান্ডে গেলে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হবে। আর ক্রোয়েশিয়ায় গিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোয়ারেন্টাইন করলে ১০ দিনের মধ্যে মুক্তি মিলবে।