আমার নাম তো ছিলই না, সেখানে আমিই সভাপতি
২০১২ সালে অনেকটা আকস্মিকভাবে নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। অন্য সবার মতো তিনিও অবাক হয়েছিলেন বিসিবির নির্বাচনে নিজের নাম শুনে। আজ (শনিবার) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ক্রিকেট বোর্ডের প্রয়াত পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহার স্মরণে এক অনুষ্ঠানে তিনি তার ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির হওয়ার গল্পটি বলেন।
নাজমুল হাসান পাপনের বাবা ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। কুয়েতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে বাবার সঙ্গে থাকাবস্থায় তিনি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তার নাম শোনেন, ‘বাবার রাষ্ট্রীয় সফরে সাধারণত আমার বোনরা যেত। কুয়েতের সফরে তারা যেতে চাননি। আমার বাবা বললেন, তুমি চলো। সংক্ষিপ্ত কয়েক দিনের সফর। আমি সেই সফরে গেলাম। কুয়েতে থাকাবস্থায় আমার বোন ফোন করে জানায়, টিভিতে দেখাচ্ছে বিসিবি সভাপতি হিসেবে আমার নাম।’
বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণার পর পাপন প্রথম অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন এখন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার কাছ থেকেই, ‘আমি যখন কুয়েতে তখন শাহেদ ভাই কুয়েতের রাষ্ট্রদূত। তিনি আমাকে প্রথম শুভেচ্ছা জানান।’
নিজের নাম সভাপতি হিসেবে জেনে আরো বেশি বিস্মিত হওয়ার কারণও জানিয়েছেন পাপন, ‘তখন একদিন আপার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে বিসিবির জন্য তিন জনের নাম বলেছিলাম। আপা একটি নামে আচ্ছা বলেছিলেন, আরেকটি নামে কিছু বলেননি। আমার নাম তো ছিলই না। আমি যেখানে অন্যদের নাম নিয়ে আলোচনা করলাম। সেখানে আমিই সভাপতি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচিত হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন।
এজেড/এটি/টিআইএস