বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন হার্শা ভোগলের
১৩১, ১২১, ১২৭, ১০৪, ১২২ এবং ৬০। সংখ্যাগুলো ‘হোম অফ ক্রিকেট’ বলে খ্যাত মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া সর্বশেষ ৬টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টি রানের খেলা বলে পরিচিত হলেও মিরপুরে এসে বরাবরই পাল্টে যায় চিত্রটা। উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অভিযোগটা বেশ পুরোনো। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এমন উইকেট বানানো কতটা যুক্তিসংগত?
এবছরের অক্টোবরে শুরু ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান তিনটি ভেন্যু দুবাই, আবুধাবি এবং শারজার উইকেট যে আর যাই হোক মন্থর নয় তা ভালো করেই জানা আছে সবার। জনপ্রিয় ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলেও বাংলাদেশে খেলতে আসা দলগুলোর বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ প্রস্তুতি যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলে দলগুলোর কতটুকু প্রস্তুতি হচ্ছে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’ বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন গঠনমূলক সমালোচক হিসেবে পরিচিত হার্শা ভোগলের কথা হয়তো ভালো ঠেকবে না অনেকের কাছেই। কিন্তু দুবাই, শারজাহ এবং আবু ধাবির ফ্লাট ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের বিবেচনায় এমন উইকেট বানানোর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যেতেই পারে মিরপুরের হেড কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে।
যদিও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের কণ্ঠে অজুহাতের সুর। গতকালকের ম্যাচের পর উইকেট ইস্যুতে আকরাম খান বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে একই মাঠে খেলায়। আমরা চেয়েছিলাম দুইটা ভেন্যুতে যাতে খেলা হয়। ওরাই চেয়েছে একটা ভেন্যুতে খেলতে। ওরা এখানেই খেলবে, এখানের বাইরে যাবে না। কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়া খেলে গেছে, এখন নিউজিল্যান্ড খেলছে। উইকেটেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। সবকিছু বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা অনুরোধ করেছি আরও ভালো উইকেট রাখার।’
টানা খেলা হওয়ার অজুহাত দিলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এমন বিদঘুটে উইকেট কেন বানানো হল সেটাও অজানা ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ভক্তদের। ঘরের মাঠে সিরিজ জেতার চাইতে বিশ্বকাপের কাছাকাছি উইকেট বানালে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকত বাংলাদেশ।
এআইএ/এটি