অর্থ কষ্টে আরামবাগের ফুটবলাররা
চলমান বেটিং ইস্যুতে উত্তপ্ত ফুটবলাঙ্গন। ক্লাব অফিসিয়ালদের নির্দেশনায় বেটিং বা ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকা ফুটবলাররা এখন অসহায়। তাদের দুঃসময়ে পাশে পাচ্ছেন না কেউ। সেই সময় অনেক দিন নিষ্ক্রিয় থাকা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি এগিয়ে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে সমিতির কার্যালয়ে বেটিংয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত ফুটবলাররা এসেছিলেন। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন সহ আরও সাবেক অনেক ফুটবলারদের সঙ্গে তারা আলোচনা ও পরামর্শ করেন তাদের বিষয়ে।
সেই আলোচনা শেষে ফুটবলারদের নিজ নিজ ভাবে আপিল করার কথা সিদ্ধান্ত হয়। আজকের মধ্যেই ফুটবলাররা ফেডারেশনের কাছে শাস্তি লাঘবের জন্য আপিল করবেন। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেনের সঙ্গে খেলোয়াড়দের এই বিষয় নিয়ে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলাপ করেছেন।
ইকবাল সভা শেষে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের আমরা আপিল করতে করেছি। সবার সমান অপরাধ এক মাত্রায় নয়। খেলোয়াড়দের রুটি, রুজি এবং পারিবারিক বিষয় জড়িত। সব কিছু মিলিয়ে আমরা মানবিকভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে রয়েছি। প্রকৃত দোষীদের সঙ্গে আমরা নেই।’
বাফুফের তদন্ত কমিটি ছয় মাসের বেশি সময় নিয়ে বেটিং নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাও এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিল। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি আলাদাভাবে বিষয়টি তদন্ত করতে চান, ‘আমরা দোষীদের সঙ্গে থাকব না। আমরা সাবেক কয়েকজন ফুটবলার মিলে বিষয়টি বিশ্লেষণ করব। কয়েকজন বলেছে, অভিযুক্ত ম্যাচগুলোতে তারা খেলেনি।’
আরামবাগের সিনিয়র ফুটবলার মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা খুবই নিদারুণ কষ্টে রয়েছি। ক্লাব থেকে অর্থ পাইনি। আমরা এর সঙ্গে জড়িতও ছিলাম না। ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা এগুলো করেছে। আশা করি ফেডারেশন আমাদের বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করবে।’
সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি খেলোয়াড়দের এই সংকট সম্পর্কে বলেন, ‘খেলোয়াড়রা পড়েছে উভয় সংকটে। তারা হয়তো অনেকে বাধ্য হয়েছে অফিসিয়ালদের কথা শুনতে। না শুনলে ক্লাব তাকে সাসপেন্ড করতো। এখন অফিসিয়ালদের কথা শোনায় ফেডারেশন সাসপেন্ড করেছে।’
এজেড/এটি