আগস্টেই শেষ হচ্ছে তামিমের ইনজুরি-যুদ্ধ
দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর চোটে ভুগছেন তামিম ইকবাল। যে কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্ব খেলতে পারেননি তিনি। জিম্বাবুয়ে সফরে গেলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি তামিমের। ‘ম্যানেজ’ করে ওয়ানডে সিরিজ খেলে দেশে ফিরে আসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর শুরু হয় তার রিহ্যাব প্রক্রিয়া। তামিমের ইনজুরি যুদ্ধ শেষ হচ্ছে চলতি আগস্ট মাসেই।
ইনজুরি নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেন তামিম। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে শতক করার পর বলেন, ‘আমি হয়তো দেখাচ্ছিলাম না কিন্তু আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল। পায়ে অনেক টেপ লাগানো ছিল। ইনজুরি এমন একটা জিনিস আমি চালিয়ে যেতে পারব, একবার বেড়ে গেলে তখন হয়তো ৬-৮ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। মনে হয়না এই ঝুঁকি নেয়ার দরকার আছে।’
ঝুঁকি নেননি তামিম। ২০ জুলাই দেশে ফিরে এসেই শুরু করেন রিহ্যাব প্রক্রিয়া। ৬-৮ সপ্তাহের এই রিহ্যাবের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি তামিমের। এবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড। দুই দলের মাঠের লড়াই শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর। তার আগে কোন অবস্থানে আছেন তামিম?
ঢাকা পোস্টকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তামিমের রিহ্যাব প্রক্রিয়া চলছে। জাতীয় দলের ফিজিওর তত্ত্বাবধায়নে বাইরের একটি জিমে কাজ করছে। তামিমের মূলত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ লাগবে সেরে উঠতে। এই মাসের শেষে তার রিহ্যাবের ছয় সপ্তাহ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি পুরোপুরি ফিট না হয় তাহলে আমরা তাকে আরও দেখব।’
তামিমের ৬ সপ্তাহের রিহ্যাব এ মাসের শেষদিকে শেষ হলেও তিনি নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য এখনই বিবেচিত নন। এই সিরিজের জন্য আগামী ২৩ আগস্ট জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়বে দল। তার আগে সুস্থ হচ্ছেন না তামিম। এমন কি ৬ সপ্তাহ পর সেরে না উঠলে আরও অপেক্ষা করতে হবে তাকে। সেরে উঠলে লড়তে হবে ম্যাচ ফিটনেসের জন্য। বিসিবি চেয়েছিল তামিমকে দেশের বাইরে পাঠাতে। তবে সেটি সম্ভব হয়নি চলমান করোনাভাইরাসের কারণে।
দেবাশিষ জানালেন, ‘সমস্যা হচ্ছে দেশের বাইরে তো পাঠানো যাচ্ছে না এখন। যে সব জায়গাতে আমরা সাধারণত চিকিৎসার জন্য খেলোয়াড় পাঠাই, সে সব জায়গায় আপাতত ভিসা বন্ধ আছে। খুব জরুরি কিছু বা বড় ধরণের কিছু না হলে ইংল্যান্ডও ভিসা দিচ্ছে না। বাইরে কোথাও পাঠাতে পারলে তো অবশ্যই ভালো হতো।’
টিআইএস