বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিতে খুশি সাকিব
ঠাসা সূচি। দম ফেলার ফুরসত নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করতেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। এটি শেষ করার পরেই নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। এই ব্যস্ততার প্রায় সবটুকুই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বসবে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের শ্রেষ্ঠতর আসর। এজন্য বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি হচ্ছে বাংলাদেশ দল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজ জয়, এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়, এরপর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আছে, এসব আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে চলার পথে। আমার মনে হয় ভালো প্রস্তুতিই হবে।’
বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ নামকডাক অস্ট্রেলিয়ার। তারা ক্রিকেট মোড়লদের একজন। মাঠের পারফরম্যান্সও অনবদ্য অজিদের। বলা যায় বাইশ গজের সবচেয়ে সফল দল। অথচ তাদেরই কিনা রীতিমতো মাটিতে নামাল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে কোণঠাসা করে সিরিজ জিতে নিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। এমনকি এই ফরম্যাটে অস্ট্রলিয়াকে তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবিয়েছে টাইগাররা।
অজিদের ধরাশায়ী করতে স্বাগতিকরা দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে পেয়েছে উইকেটকে। বলা যায় অস্ট্রেলিয়া বধের মূল ভূমিকায় ছিল মন্থর উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তবে সে নিয়ে মোটেও শঙ্কিত নন সাকিব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ সেরা হয়ে সাকিব বলছিলেন, ‘হয়তো প্রতি ম্যাচেই আমরা ১০-১৫ রান করে বেশি করতে পারতাম। একটা সময় ছিল, যেখানে এটা সম্ভব ছিল। তবে উইকেট এতটাই কঠিন ছিল যে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য সেটি আরও দুরূহ ছিল। আসলে তাই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বলার কিছু নাই। আর একটা সিরিজ দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক হবে না, কারণ কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য।’
বোলারদের প্রশংসা বন্যায় ভাসান সাকিব, ‘ওভারঅল বোলিং তো আমরা প্রতিটি ম্যাচেই খুব ভালো বোলিং করেছি। আমার কাছে মনে হয়, পাঁচটি ম্যাচে বোলিংয়ের যে ধারাবাহিকতা ছিল, এটা যদি ধরে রাখতে পারি বিশ্বকাপ পর্যন্ত, আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব।
টিআইএস/এটি/এনইউ