ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর দর্শকদের কথা মনে পড়েছে পাপনের
বাংলাদেশ দলের সাফল্য হোক বা ব্যর্থতা, সবখানে সরব উপস্থিতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়া থেকে দুয়ো দেওয়া, কোনকিছুতেই রাখঢাক নেই তার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পরেও গণমাধ্যমের মুখোমুখি তিনি। এমন জয়ের পর দর্শক আর সমর্থকদের জন্য মন পুড়লো তার।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জয়ের সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ দল। এরপর মিরপুরেই সংবাদমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন পাপন। জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলেও স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা পায়নি টাইগাররা।
পাপন জানান, ‘হোম গ্রাউন্ডের সুবিধা আমরা পেয়েছি, কিন্তু সত্যি বলতে আমরা ঘরের মাঠের সুবিধা পায়নি। এটা কিন্তু শুধু পিচ না, দর্শক, সাপোর্টার, এরাই তো ছিল না। মাঠে ভর্তি সাপোর্টার থাকলে সাহস থাকে মনে, এটা কিন্তু এবার ছিল না।’
করনোভাইরাসের কারণে ঘরের মাঠে এখনো দর্শক ফেরায়নি বিসিবি। এবার অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসতে যতগুলো শর্ত দিয়েছিল, তার একটি ছিল, যে মাঠে খেলা হবে, সেখানে থাকবে না কোনও দর্শক উপস্থিতি।
এদিকে সিরিজের তিন ম্যাচই হয়েছে স্পিন নির্ভর উইকেটে। মস্থর উইকেটের চ্যালেঞ্জে সুবিধা করতে পারেনি অজিরা। এনিয়ে অনেকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিসিবিকে। অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, কেন স্পোর্টিং উইকেট না করে স্পিন সহায়ক উইকেটে প্রতিপক্ষ বধের পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?
তাদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পাপন বলেন, ‘আমরা স্পিনিং উইকেট নিয়ে কেন কথা বলছি? উইকেট যদি দেখেন পেসাররাই তো নিচ্ছে। প্রথম ম্যাচ থেকে দেখেন! ওরাই বেশি পাচ্ছে। এখন বলতে পারেন কন্ডিশন আলাদা। ওদের ওইখানে গেলেও আমাদের জন্য আলাদা।’
প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে বোর্ড সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘আমার যতদূর মনে পরে যে দলটা দেখলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে দলটা গিয়েছিল সেই দলটাই আছে, শুধু ফিঞ্চ নেই। ওদের স্পিনার অ্যাগার-জ্যাম্পাও খুবই ভালো। বিশ্বমানের স্পিনার।’
টিআইএস/এমএইচ