ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিবার রাখা নিয়ে কী বলছে বিসিবি
জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠছেন খেলোয়াড়রা। প্রায় এক মাসের জিম্বাবুয়ের সফর শেষ করে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন টাইগাররা। পুরো সময়ই পরিবার থেকে দূরে আছেন তারা। ঘরের মাঠে সিরিজ হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলে পরিবার সঙ্গে রাখতে পারতেন ক্রিকেটাররা। তবে সে পথে হাঁটেনি বিসিবি।
এ বিষয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাড়তি ঝুঁকি এড়াতেই এ পথে হাঁটেনি বিসিবি। আজ (শুক্রবার) মিরপুরে গণমাধ্যমকে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে খেলোয়াড়রা বিরতি পাবে। এটা সুনিশ্চিত করা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষ যত বাড়বে তত কঠিন, তাদের টেস্টিং প্রটোকল আছে। নির্দিষ্ট দিনে সবার করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। তাদের নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে ইভেন্ট আয়োজিত হয়।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিল, তখন স্বাগতিকদের একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পিছিয়ে যায় খেলা। সে উদাহরণ সামনে আনলেন নিজামউদ্দিন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে দেখুন, একজন সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হওয়ায় পুরো সিরিজ পিছিয়ে যায়। এ ধরনের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই মানুষের সংখ্যা যত কম রাখা যায় তত ভালো।’
এক সিরিজ থেকে আরেক সিরিজ, এক সুরক্ষা বলয় থেকে আরেক সুরক্ষা বলয়। জিম্বাবুয়ে সফরের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের কিছুদিন বিশ্রাম দিয়ে সূচি ঘোষণা করা যেত কি না? বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, হাতে তেমন কোনো সুযোগ ছিল না বোর্ডের।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হাতে আর কোনো সুযোগ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব খেলা শেষ করে যেতে চাচ্ছে। আবহাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আর মাঠের প্রস্তুতি ভালো। মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে। আশা করি, খেলাগুলো আমাদের মতো করে শেষ করতে পারব।’
টিআইএস/এমএইচ/জেএস