বাংলাদেশে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে না অস্ট্রেলিয়া
নতুন স্বাভাবিকতায় কোনও টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আয়োজন করা দুর্বিষহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরিতে বাকিদের থেকে ক্রিকেট পরাশক্তি দলগুলো বাড়তি শর্ত বেধে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সফর নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টালবাহানা দীর্ঘদিনের। এই সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হলেও যদি-কিন্তুর শঙ্কা কাটেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য আশাবাদী অজিদের আসা নিয়ে।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সফরে আসবেন না অস্ট্রেলিয়ার একাধিক তারকা ক্রিকেটার। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ হাঁটুর ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। শেষপর্যন্ত তুলনামূলক কিছুটা দুর্বল দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করলেও ১০ দিনে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে আবার তিনদিনের হোটেল বন্দি কোয়ারান্টাইন।
এই ১০ দিনে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়াসহ সিরিজের সঙ্গে জড়িত সবাইকে প্রায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ঢাকা পোস্টকে এমনটিই জানাচ্ছিলেন বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী, ‘অস্ট্রেলিয়া দল যতদিন বাংলাদেশ থাকবে প্রায় প্রতিদিনই টেস্ট হবে।’
জিম্বাবুয়ে সফর শেষে ঢাকায় এসেই সোজা হোটেলে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ দল। মিচেল স্টার্কদের মতো সাকিব আল হাসানদেরও তিনদিনের কঠোর কোয়ারেন্টানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এদেশে এসে কোনও অনুশীলন ম্যাচ খেলবে না সফরকারীরা। সুযোগ নেই স্বাগতিকদেরও।
দেবাশিষ বললেন, ‘ক্রিকেটাররা যখন ঢুকবে তখন তাদেরকে তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এটা বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দলের ক্রিকেটারদের জন্য একই নিয়ম। অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের যে ধরণের কথাবার্তা হয়েছে, তারা এখানে এসে কোনও অনুশীলন ম্যাচ খেলবে না। তবে সূচিতে দুদিন অনুশীলন রাখা হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ে সফরে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া একই তরিকায় রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তারা তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন করলেও ম্যাচ অফিশিয়াল, গ্রাউন্ডসম্যান সহ যারা সিরিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা ইতোমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করেছেন। সে সংখ্যাটাও দেড়শ জনের বেশি বলে জানালেন বিসিবির এই চিকিৎসক।
দেবাশিষ বলেন, ‘এখনো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের ছোট ছোট জায়গা আছে আলোচনার। তাদের সাথে এখনো আলোচনা চলছে এগুলো নিয়ে। তবে একটা জিনিস দাঁড় করানো গেছে, যারা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন দেবাশিষ, ‘ম্যাচ অফিসিয়াল, গ্রাউন্ডসম্যান, হোটেল স্টাফসহ যারা আছেন তারা কোয়ারেন্টাইন শুরু করে দিয়েছেন। এই ১০ দিনে তাদের আরো চারটি টেস্ট হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ জনের মতো জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন। দুই দলের ক্রিকেটার ম্যাচ অফিশিয়াল মিলিয়ে সংখ্যাটা ২০০ এর বেশি।’
টিআইএস/এটি