মেসি, রোনালদো ও লেভান্ডভস্কি ফিফা বেস্টের লড়াইয়ে
বায়ার্নের হয়ে বছরটা দুর্দান্ত যাচ্ছিলো রবার্ট লেভান্ডভস্কির। ফিফা বর্ষসেরার পুরুষদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাই তার স্থান পাওয়াটা অনুমিতই ছিলো। যেমনটা ছিলো লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। এদিকে দারুণ নৈপুন্য দেখিয়েও সেরা তিন থেকে ছিটকে গেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটানো কেভিন ডি ব্রুইনা।
নারীদের বর্ষসেরা হওয়ার লড়াইয়ে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির লুসি ব্রোঞ্জ, চেলসি ফরোয়ার্ড পার্নিলে হার্ডার ও লিওঁ ডিফেন্ডার ওয়েন্ডি রেনার্ড।
ফিফা বর্ষসেরার বর্তমান রূপ ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ মূলত আগের ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার’ এরই নতুন রূপ। ১৯৯১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অরের সমান্তরালে চলছিলো পুরস্কারের কার্যক্রম। মাঝে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে মিলে দেয়া হতো ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’। ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান রূপে আসে পুরস্কারটি।
লেভান্ডভস্কি গেলো মৌসুমে ছিলেন আগুনে ফর্মে। করেছেন ৫৫ গোল, বায়ার্নকে জিতিয়েছেন ২০১৯-২০ মৌসুমের সবক’টি বড় শিরোপা। তার কীর্তিতে ভর করেই গেলো মৌসুমে ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে বায়ার্ন জেতে নিজেদের দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান ট্রেবল। ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসাটা তারই স্বীকৃতি। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর হচ্ছে না ব্যালন ডি’অর। যার ফলে বায়ার্ন স্ট্রাইকার হতাশাও প্রকাশ করেছিলেন কিছুটা। তার সামনে অবশ্য এখন সুযোগ ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার।
তবে লেভা’র কীর্তি আর দলীয় সাফল্যের সামনে রোনালদোর ৩১টি লিগ গোল আর লিগ শিরোপা জেতার কীর্তি কিছুটা ম্লান। এদিকে মেসি গেলো মৌসুমে ২৫ গোল আর ২০টি অ্যাসিস্ট করার পরেও দল জেতেনি কিছুই, ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার সম্ভাবনা তাই তাদের কিছুটা কমই।
অন্যদিকে নারী ফুটবলে ব্রোঞ্জ আর রেনার্ড গেলো মৌসুমে লিওঁকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। হার্ডারও তালিকায় আছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কীর্তির জন্যেই। গেলো মৌসুমে ভলফসবুর্গকে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোপসেরার চূড়ান্ত লড়াইয়ে, যদিও লিওঁর কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। এরপরই অবশ্য চলতি মৌসুমে চেলসিতে পারি জমান হার্ডার।
পুরুষ ফুটবলের সেরা তিন গোলরক্ষকের তালিকায় আছেন লিভারপুলের এলিসন বেকার, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ইয়ান অবলাক ও লিভারপুলের ম্যানুয়েল নয়্যার। নারী বর্ষসেরা গোলরক্ষক হওয়ার দৌড়ে আধেন পিএসজির ক্রিশ্চিয়ান এন্ডলার, শিকাগো রেড স্টারের এলিসা নাহার, ও লিওঁর সারাহ বোহাদি।
পুরুষদের সেরা ম্যানেজারের তালিকায় আছেন লিভারপুলকে ৩০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগ জেতানো ইয়ুর্গেন ক্লপ, বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও লিডস ইউনাইটেডের মার্সেলো বিয়েলসা। নারীদের সেরা ম্যানেজার হওয়ার প্রতিযোগিতাটা হবে লিওঁর জঁ লুক ভঁসঁ, চেলসির এমা হায়েস ও নেদারল্যান্ডসের সারিনা উইগমানের মধ্যে।
এনইউ