ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ষড়যন্ত্র, হাজার বছরের জেল
খেলার দুনিয়ায় ম্যাচ ফিক্সিং নতুন কিছু নয়। এনিয়ে কোন সতর্কবার্তা কিংবা কঠোরতাও আটকাতে পারছে না। তেমনি পাতানো ম্যাচের ভূমিকম্পে এক দশক আগে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। যার রেশ এখনো তাজা। সেই ঘটনার বিচার হলো এবার। অভিনব এক শাস্তি পেলেন দুজন। তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় একট ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হওয়ায় মামলার দুই আসামির প্রত্যেককে এক হাজার বছরের বেশি কারাদণ্ড দিল তুরস্কের আদালত।
রয়টার্স শুক্রবার আসামিদের একজন গণমাধ্যমের কর্মকর্তা, আরেকজন সাবেক পুলিশ প্রধান। এক দশক আগে ঘরোয়া লিগে ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় ফেনেরবাচ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আজিজ ইলদিরিমকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দলটিকে দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক আসর থেকে।
এই ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তারা ‘ষড়যন্ত্র’ খুঁজে পেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। তারপরই এবার এ মামলায় ফোনকলে আড়িপাতা ও নথি জালিয়াতির দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সামানিওলু মিডিয়া গ্রুপের প্রধান হিদায়েত কারাকাকে ১ হাজার ৪০৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তুর্কী আদালত।
একইসঙ্গে ষড়যন্ত্র ও নথি জালিয়াতির দায়ে সাবেক পুলিশ প্রধান নাজমি আরদিক কারাদণ্ড দেওয়া পেলেন ২ হাজার ১৭০ বছরের । তার চক্রান্ত করেই ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন। এ কারণেই কঠিন এই শাস্তি পেলেন।
এনইউ/এনইউ