হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আপিল করেছে মোহামেডান

আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। এবার তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দলটির তরফে আপিল করা হয়েছে।
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই বাড়তি উন্মাদনা। ডিপিএলের এবারের আসরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াইয়েও সেই উন্মাদনার আঁচ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ে জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান।
এদিন ফিল্ডিং চলাকালে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে তর্কে জড়াতে দেখা যায়। ঘটনার সূত্রপাত আবাহনী ইনিংসের অষ্টম ওভারে। পেসার এবাদত হোসেনের বল আঘাত করে আবাহনী ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করেন মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ।
পরে এ নিয়ে তর্ক শুরু হলে এগিয়ে আসেন আম্পায়ার সৈকত। এরপরই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে মেজাজ হারাতে দেখা যায়। মূলত সৈকতের দেওয়া এক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মোহামেডান অধিনায়ক।
মাঠে মেজাজ হারানোর কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন হৃদয়। এই ম্যাচে ৪ ডিমেরিট পয়েন্টের কারণে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকছেন তিনি। যে কারণে সুপার লিগের প্রথম দিকে দেখা যাবে না হৃদয়কে। তবে হৃদয়ের শাস্তির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আজ (রোববার) টেকনিক্যাল কমিটি বরাবর আবেদন করেছে মোহামেডান ম্যানেজমেন্ট। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিপিএল সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেল।
এ ছাড়া গতকালকের ম্যাচে শাস্তি হয়েছে এবাদত হোসেনেরও। আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে আর্থিক জরিমানা দিতে হচ্ছে এই পেসারকে। সবমিলিয়ে ২টি বিষয়ে ৪০ হাজার টাকা গুনতে হবে এবাদতকে, সঙ্গে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট।
এসএইচ/এফআই