সেই চিরকুট নিয়ে হেড-অভিষেকের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

অভিষেক শর্মার আগে এমন উদযাপন কেবল একজনই করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটার দীনেশ রামদিন। ২০১২ সালে বার্মিংহ্যাম টেস্টে সেঞ্চুরির পর ভিভ রিচার্ডসের সমালোচনার জবাব দিতে একটুকরো কাগজ বের করে এনেছিলেন রামদিন। সে কারণে জরিমানাও হজম করতে হয়েছিল তাকে। তবে অভিষেক শর্মার বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন।
আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির পর অভিষেক নিজের পকেট থেকে চিরকুট বের করে এনে জানান দিলেন, এই সেঞ্চুরিটা পুরো অরেঞ্জ আর্মির জন্য। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যারা কমলা জার্সি আর পতাকায় মাতিয়ে রেখেছেন পুরোটা, সেঞ্চুরিটা সেই কমলা রঙের স্বাগতিক সমর্থকদেরই উৎসর্গ করেছেন অভিষেক শর্মা। ৭ চার আর ৬ ছক্কায় সেঞ্চুরি করেছেন।
তবে এই চিরকুট নিয়েও চলছে ভিন্ন ভিন্ন আলাপন। ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে অভিষেকের ওপেনিং পার্টনার ট্রাভিস হেডের ভাষ্য সেই চিরকুট নাকি শুরু থেকেই পকেটে রেখেছিলেন অভিষেক শর্মা। স্টার স্পোর্টসের ক্যামেরায় হেড বলেন, ‘চিরকুটটা গত ৬ ম্যাচ ধরেই অভিষেকের পকেটে আছে। খুশি হলাম সেটা আজ বেরিয়ে এসেছে।’
— Travis head (@TravisHead24) April 12, 2025
পরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও অভিষেক শর্মাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হেড। সেখানেও উল্লেখ করেছেন ৬ ম্যাচ ধরে পকেটে চিরকুট রাখার কথা।
এদিকে অভিষেক শর্মার বক্তব্য, এই চিরকুট ম্যাচের দিন সকালেই লিখেছেন তিনি। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে অভিষেক বলেন, ‘আমি আজই এটা নিজের হাতে লিখেছি। কারণ আমি সাধারণ ঘুম থেকে উঠেই কিছু একটা লিখে রাখি। আমার আজ আচমকাই মনে হলো, আজ যদি কিছু করতে পারি সেটা হবে অরেঞ্জ আর্মিদের (হায়দরাবাদ সমর্থক) জন্য। সৌভাগ্যবশত, আমি আজ বুঝতে পেরেছিলাম দিনটা আমারই হতে চলেছে।’
চিরকুট নিয়ে দুই সতীর্থের বক্তব্য দুই রকম হলেও মাঠের খেলায় দুজন মিলেই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছেন প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংসের ওপর। অভিষেক-হেড মিলে ম্যাচটিতে ১৭১ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে নেমে। যা আইপিএলে হায়দরাবাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। এর আগে ২০১৯ আসরে জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার মিলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৫ রানের জুটি গড়েন।
আর এই ১৭১ রানের জুটির ওপর ভর করেই পাঞ্জাবের দেয়া ২৪৬ রানের টার্গেট ৯ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেইসঙ্গে টানা ৪ হারের পর নিশ্চিত করেছে আরাধ্য এক জয়।
জেএ