প্রিমিয়ার লিগে এডারসনের এমন কীর্তি আগে করেননি কেউই

গোলরক্ষকও ১১ জনের অংশ। আক্রমণ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে তাকেও। এমন একটা ধারণা পেপ গার্দিওলা ফুটবলে নিয়ে এসেছিলেন ২০০৮ সালে। বার্সেলোনার হয়ে ভিক্টর ভালদেজকে যেভাবে খেলিয়েছেন, সেটা বদলে দিয়েছে ফুটবলে গোলরক্ষকের সংজ্ঞাটাই। এরপর বায়ার্ন মিউনিখে গিয়ে ম্যানুয়েল নয়্যারকে বানিয়েছেন ‘সুইপার কিপার’ রোলমডেলের জনক।
আর ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে গার্দিওলা পেলেন এডারসন মোয়ারেসকে। স্প্যানিশ এই কোচ যেমন বল প্লেয়িং গোলরক্ষক চেয়েছিলেন, এডারসন ঠিক ঠিক সেটাই করে দেখালেন। অনেকেই এসেছেন, চলে গিয়েছেন। তবে ম্যানসিটির গোলবারের নিচে ব্রাজিলিয়ান এডারসন ঠিকই থেকে গিয়েছেন। আর এডারসন তার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণভাবে।
ম্যানসিটির জার্সিতে গোলরক্ষক এডারসনের কীর্তিতে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হলো ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচে। গোলরক্ষক হয়ে কেবল গোল থামানোই না বরং গোল করানোও সম্ভব– সেটা আগেই দেখিয়েছেন তিনি। আজও তাই করলেন। জেমস ম্যাকাটিকে দিয়ে করিয়েছেন গোল। আর তাতেই জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।
ম্যাকাটিকে করানো গোলটি চলতি মৌসুমে এডারসনের ৪র্থ অ্যাসিস্ট। এক মৌসুমে গোলরক্ষকদের সাপেক্ষে প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার ৭ম অ্যাসিস্ট। প্রিমিয়ার লিগে অন্য যেকোন গোলরক্ষকের চেয়ে ২টি বেশি। এমনকি ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগেও এডারসনের চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট নেই আর কোনো গোলরক্ষকের।
এডারসনের দিনটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভালো যায়নি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তাতে অবশ্য দলের বিপদ বাড়েনি। ক্রিস্টাল প্যালেসের জালে এরপরেও এক গোল পুরেছে ম্যানসিটি।
এডারসনের ইতিহাস গড়ার ম্যাচটা শেষ হয় ম্যানসিটির ৫-২ গোলের জয়ে। ম্যাচের শুরুতেই ৮ মিনিটে এবেরেচি ইজে এবং ক্রিস রিচার্ডস গোল করে ২-০ তে এগিয়ে দেন ক্রিস্টাল প্যালেসকে। ৩৩ মিনিটে ডি ব্রুইনা ফ্রিকিকে করেন প্রথম গোল। ৩৬ মিনিটেই ইলকাই গুন্দোয়ানের অ্যাসিস্টে সমতায় ফেরে ম্যানসিটি।

বিরতির পর ম্যানসিটির হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন মাতেও কোভাচিচ, জেমস ম্যাকাটি এবং নিকো ও’রাইলি। ম্যাচে ১ গোল এবং ১ অ্যাসিস্ট পেয়েছেন ডি ব্রুইনা।
জেএ