সামিতের সবুজ সংকেত, আলোচনায় বসছে বাফুফে

হামজা চৌধুরীর পর আরেকজন বড় হাইপ্রোফাইল কানাডিয়ান সামিত সোমকে পাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। বাফুফে ও সামিতের মধ্যে গেল কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। সামিত বাফুফের কাছে সময় চেয়েছিল সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য। তিনি ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বাফুফের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে সামিত আমাকে মেসেজ দিয়েছে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিস্তারিত কথা বলতে চায়। এখন কানাডায় মধ্যরাত। বাংলাদেশ সময় রাতে তার সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’
সামিত এপ্রিলের মাঝামাঝি বাফুফেকে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে বাফুফে সহ-সভাপতি সিদ্ধান্তের বিষয় জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি মেসেজ দিয়েছেন কিছুক্ষণ আগে।

বাফুফে সহ-সভাপতি সামিতের বার্তা ইতিবাচকই ধরছেন, ‘কয়েক ঘণ্টা পর বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা আশা করি বাংলাদেশের জার্সিতে তাকে দেখতে পারব।’
বাফুফের সঙ্গে আলোচনার পর মূলত সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রক্রিয়ার বিষয়টি আরও জানা যাবে। সামিত সোমের জন্ম কানাডায় হলেও তার বাবা-মা বাংলাদেশি। বাবা মায়ের সূত্রে তিনিও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
সেক্ষেত্রে সামিতকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট করতে হবে। তার পাসপোর্টের আগে তার বাবা-মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদ প্রয়োজন। সামিতের পাসপোর্ট হওয়ার পর কানাডিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করে ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সবুজ সংকেত মিললেই তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১০ জুন। মাত্র দুই মাসের কম সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফিফার অনুমতি পাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ ম্যাচের নির্দিষ্ট কয়েক দিন আগে বাফুফেকে খেলোয়াড় নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় এএফসি পোর্টালে।
প্রসঙ্গত, কানাডার সিনিয়র দলের হয়ে ৩টি ম্যাচ খেলেছেন সামিত সোম। মেজর সকার লিগের পর এখন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন।
এজেড/এফআই