ছক্কা নাকি মুস্তাফিজ– কাকে বেশি মিস করছে চেন্নাই?

টার্গেট নাগালেই ছিল। ক্রিজে মহেন্দ্র সিং ধোনিও ছিলেন। ম্যাচ নিজেদের হাতে আনার লক্ষ্যে ডেভন কনওয়েকে উঠিয়ে নেয়া হলো রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে। এরপর ক্রিজে এসেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু ম্যাচটা আসলে বের করে আনা হয়নি চেন্নাইয়ের। শুরুর দিকে ব্যাটারদের বিগ শট খেলতে না পারার ব্যর্থতাটাই হয়ত এদিন আরও একবার ভুগিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসকে।
৫ ম্যাচের মধ্যে চার হার। ২০২২-২৩ আসরের পর এবার চেন্নাইকে দেখতে হলো এমন দুরাবস্থা। ১৮ বছরের আইপিএল ইতিহাসে মোটে চতুর্থবার এই দুর্দশা ভোগ করছে দলটা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে, চেন্নাইয়ের মতো সাফল্যে ঠাসা এক দলের এমন ব্যর্থতার কারণ কী?
কারণ অনুসন্ধানে সবার আগে উঠে আসতে পারে ছক্কার কম সংখ্যা। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি মানেই যেখানে বড় শট খেলার প্রতিযোগিতা সেখানে চেন্নাই যেন অনেকটাই পিছিয়ে। ৫ ম্যাচ শেষে তাদের দলের ব্যাটারদের কাছ থেকে এসেছে মাত্র ৩১ ছক্কার মার। গড় হিসেবে ১ ম্যাচে কেবল ৬টি করে ছক্কা মারতে পেরেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা।
এবারের আইপিএলে ছক্কার ট্যালিতে নিচ থেকে দুইয়ে আছে চেন্নাই সুপার কিংস। একেবারে তলানিতে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে ২৮ ছক্কা হাঁকানো দিল্লি খেলেছে ৩ ম্যাচ। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটারদের কাছ থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৫৮ ছক্কার মাত্র। নিকোলাস পুরান একাই হাঁকিয়েছেন ২৪ ছক্কা! সেখানে চেন্নাইয়ের ৩১ ছক্কা দল হিসেবে বেশ কমই বলা চলে।
আরও পড়ুন
দুইয়ে থাকা পাঞ্জাবের ছক্কা ৪৭টি। ৪৪ ছক্কা আছে রাজস্থান রয়্যালসের। ৪১ ছক্কার মার এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের কাছ থেকে। চেন্নাই ছাড়া এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৩৫ এর নিচে ছক্কা আছে কেবল কলকাতা নাইট রাইডার্সের।
চেন্নাই হয়ত মিস করছে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকে। কিছুটা জোর করে চাপিয়ে দেয়া মনে হলেও এবারের আসরে চেন্নাই পেসারদের দুরাবস্থায় ফিজকে স্মরণ হতেই পারে চেন্নাইয়ের। গেল আসরে বাংলাদেশি পেসার খেলতে পেরেছিলেন ৯ ম্যাচ। তার গড় ছিল ২৩ এর কম। ইকোনমি ৯.২৬।
এবারে দেখা যাক চলতি আসরে ঠিক কোন অবস্থায় আছেন চেন্নাইয়ের পেসাররা। মূল পেসার খলিল আহমেদ ৫ ম্যাচে পেয়েছেন ১০ উইকেট। গড় ১৬.৫০ আর ইকোনমি ৮ এর কিছু বেশি। খলিল ছাড়া বাকিদের অবস্থা বেশ শোচনীয়। দলের আরেক ভরসা মাথিশা পাথিরানা এখন পর্যন্ত হতাশই করেছেন। এই আসরে গড়ে ২৯ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। তবে ওভারপ্রতি দিয়েছেন ১০ এর কাছাকাছি রান। ৪ ম্যাচে তার উইকেট ৫টি।
মুকেশ চৌধুরীর অবস্থাও বেশ শোচনীয়! তার গড় ৭১। আর ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১১.৮৩ রান। দুই ইংলিশ পেসার স্যাম কারান এবং জেমি ওভারটনের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেটই পায়নি চেন্নাই সুপার কিংস। মুস্তাফিজকে মিস করাটা হয়ত দোষের কিছু না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
জেএ