সানজিদা-কৃষ্ণাদের সঙ্গে কোচের বৈঠক

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে ১৮ জন ফুটবলার এড়িয়ে চলছিলেন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই মাস পর আজ বাটলার ও সেই বিদ্রোহী ফুটবলাররা একসঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন।
নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য গতকাল থেকে ক্যাম্প শুরু করেছে বাফুফে। কোচ বাটলার গতকাল ইংল্যান্ড থেকে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন৷ আজ সকালে জিম সেশন থাকলেও তাকে বয়কট করা ফুটবলাররা এতে অংশ নেননি। দুই পক্ষই আলোচনার টেবিলে বসতে চেয়েছিলেন।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষ সংকটের নানা বিষয়ে আলোচনা করেছে। বাটলার বেশ কয়েকবার কয়েকজন খেলোয়াড়কে অভিযুক্ত করেন আবার কখনো আন্দোলনের সমালোচনাও করেছেন। এসব বিষয়ে ফুটবলারদের উত্থাপিত প্রশ্ন খণ্ডন করে নিজের যুক্তিও দিয়েছেন। বাটলার ফুটবলারদের বিগত বিষয়াবলী ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তিনি নিজেও এ বিষয়টি ভুলে যাবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ফুটবলার।
বাটলারকে এড়িয়ে চলা নারী ফুটবলাররা অনেকটাই নমনীয়। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ক্যাম্পের প্রথম দিন টিম মিটিংয়ে যাননি অনেকে। এরপর কোচের প্রতি অভিযোগ এনে বাফুফে সভাপতিকে চিঠির পাশাপাশি মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখেন ফুটবলাররা। দুই মাসের বেশি সময় অচলাবস্থার পর আজই প্রথম দুই পক্ষ সামনাসামনি হয়েছে।
আজ বিকেলে আর জিম সেশন নেই। আগামীকাল জিম বা মাঠের অনুশীলনে সবাই থাকেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আন্দোলন করা ফুটবলারদের মধ্যে চার জন ইতোমধ্যে ভুটান, আরো চার জনের যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকিরা অনেকটাই নমনীয় হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি বাটলারের অধীনে ফেরার ব্যাপারে। যদিও অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন কয়েকজন তারা বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফিরতে রাজি হয়েছেন।
বাটলার বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় কয়েকজন ফুটবলারের নাম উচ্চারণ করেছেন। তারা ফিরতে চাইলে অনুশীলন করাবেন এমন কথাও আজ বলেছেন কোচ। ফুটবলারদের সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। বাংলার চিরকালীন প্রবাদ 'ভাঙা গ্লাস কখনো জোড়া লাগে না', এই প্রবাদের মতোই খেলোয়াড়-কোচ দুই পক্ষের দূরত্ব আসলেই মোচন হয়েছে কি না সেটার প্রকৃত উত্তর সময়ের হাতেই।
এজেড/এইচজেএস/এফআই