হার্দিকের লড়াই তবুও হারলো মুম্বাই

বল হাতে পাঁচ উইকেট নিলেও, ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারলেন না হার্দিক পান্ডিয়া। আরও একবার হারের মুখ দেখল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
শুক্রবার, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে ১২ রানে হেরেছে হয়েছে মুম্বাই।
এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে লখনৌ ২০৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই থেমে যায় ১৯১ রানে।
আরও পড়ুন
মুম্বাইয়ের ধস থেকে দলকে উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী জুটি। সেটাই তৈরি করেন নমন ধীর এবং সূর্যকুমার যাদব। সাধারণত তিন নম্বরে নামেন তিলক বর্মা, তবে তাকে বাদ দিয়ে নমনকে নামানো হয় এবং তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লখনৌ বোলারদের মনোবল ভেঙে দেন। নমন (৪৬) ফিরে যাওয়ার পর সূর্যকুমার ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন। তিলক ছিলেন তুলনায় অনেক ধীরগতির। দ্বিতীয় ইনিংসে বল সহজে ব্যাটে আসছিল না, ফলে মুম্বাইয়ের জন্য বড় শট খেলা কঠিন হয়ে পড়ছিল। আস্কিং রেট বাড়তে থাকায় সূর্যকুমার খোলাখুলি খেলার চেষ্টা করেন। তবে ১৭তম ওভারে আবেশের অফসাইড বলটি খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।
তিলকের জন্য খেলতে আরও কঠিন হয়ে ওঠে। তিনি নিজেকে ‘রিটায়ার্ড আউট’ করার সিদ্ধান্ত নেন ১৯তম ওভারে। তার বদলে নামা মিচেল স্যান্টনার খেলতেই পারেননি।
অন্যদিকে, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা লখনৌ এর জন্য বড় রান তোলা ছিল চ্যালেঞ্জ। সেই কাজ প্রথম থেকেই শুরু করেন মিচেল মার্শ। আইপিএলে নতুন দলের হয়ে মার্শের ব্যাটে রান ঝরে পড়ছিল। দুই ম্যাচে অর্ধশতরান করার পর, এই ম্যাচেও তিনি অর্ধশতরান করেন।
মার্শের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল মুম্বাইয়ের বোলিং। ২৭ বলে অর্ধশতরান করেন মার্শ। পেসাররা সাফল্য না পাওয়ায় হার্দিক স্পিনার বিগ্নেশ পুতুরকে আনেন। তার প্রথম ওভারেই পুতুর মার্শকে আউট করেন। ৩১ বলে ৬০ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ার পর আক্রমণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মার্করাম।
এদিন পন্ত একেবারেই ছন্দে ছিলেন না মাত্র ৬ বল খেলে ২ রান করে ফিরে যান তিনি। মার্করাম (৫৩) অর্ধশতরান করার পর ফিরে যান। পরে ওপেনারদের তৈরি করা মঞ্চে আর আগ্রাসী হতে পারেনি লখনৌর অন্যান্য ব্যাটাররা। শেষ ওভারে হার্দিক দুটি উইকেট নিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এবং ৩৬ রান দিয়ে চার ওভার শেষ করেন।
এমএসএ