ইংলিশ ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে বাংলাদেশের হামজা বরণের স্তুতি

সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জে নিজের পৈত্রিক বাড়ির পুরো পথ সেদিন অপেক্ষায় ছিলো হামজা চৌধুরীকে বরণ করে নিতে। অবশ্য (১৭ মার্চ) পুরো বাংলাদেশই সেদিন অপেক্ষা করেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই মিডফিল্ডারের জন্য। আর সেটা নজর এড়ায়নি বিদেশি গণমাধ্যমের।
বিজ্ঞাপন
হামজা বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে ভারতে গিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলেছেন। এরপর আবার ফিরে গিয়েছেন নিজের ঠিকানাতেও। গতকালই খেলতে নেমেছিলেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের জার্সিতে। কভেন্ট্রি সিটির বিপক্ষে তার পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে সবার।
ম্যাচের এক পর্যায়ে উঠে এলো হামজার বাংলাদেশ পর্বের কথা। যেখানে ইংলিশ ধারাভাষ্যকার প্রশংসাই করলেন বাংলাদেশের হামজা বরণের পুরো চিত্রের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ব্রডকাস্টিং ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘একটা লম্বা ভ্রমণ শেষ করে এসেই মাঝমাঠে খেলছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের জার্সিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সময় বীরের মতো অভ্যর্থনা পেয়েছেন হামজা। আর এখন তিনি হাজি রাইটকে (সেই সময়ের ট্যাকলের বিবরণী) চ্যালেঞ্জ করছেন। বাংলাদেশে যখন হামজা চৌধুরী গিয়েছিলেন, তখন রীতিমতো জনস্রোতের মাঝে পড়েছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
গোল করেননি, অ্যাসিস্ট নেই। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে নেমেই হামজা হয়ে উঠলেন মাঠের সেরা পারফর্মারদের একজন। গোলটাও পেতে পারতেন। শট নিয়েছিলেন একেবারেই নিখুঁত। কিন্তু কভেন্ট্রি গোলরক্ষকের দারুণ সেইভ হতাশ করলো বাংলাদেশি ফুটবলার হামজাকে। তাতে অবশ্য ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি তার দলের। ৩-১ গোলের সহজ জয়ই পেয়েছে দ্য ব্লেডসরা।
ম্যাচে হামজা খেলেছেন ৮৯ মিনিট। বলে টাচ ৪৮ বার। ৩১ পাসের মাঝে ২৫ পাসই ছিল পুরোপুরি নিখুঁত। ডুয়েল জিতেছেন ২টি। প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক পাস আটকেছেন ৪ বার। পুরো ম্যাচে তাকে পার করতে পারেনি প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়। ৮৯ মিনিটে তাই যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন পেয়েছেন সবার দাঁড়িয়ে দেওয়া করতালি।
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় হামজা খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। ২টা ট্যাকেল, ৪টা ইন্টারসেপশন, ১টা ব্লক ও ৩ টা রিকোভারির পাশাপাশি ফাইনাল থার্ডে ৩ বার বল পাস দেন হামজা। দলের জয়ে গোল-অ্যাসিস্ট না করেও হামজা ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
জেএ