হ্যাভিয়েরের রেকর্ড প্রকাশ বাফুফের, সমর্থকদের বিদ্রুপ

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে স্প্যানিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তিন দফায় বাফুফে তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ছিল হ্যাভিয়েরের বাংলাদেশের হয়ে ৩০তম ম্যাচ।
বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক সমৃদ্ধ হলেও রেকর্ড সংরক্ষণে নেই। অনেক রেকর্ড লিপিবদ্ধ না থাকলেও বাফুফে আজ তাদের অফিসিয়াল পেজে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচিং করানোর রেকর্ড নিয়ে পোস্ট করেছে। তার আগে এই রেকর্ড ছিল ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র। ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে শেখ সাহেব আলীর কোচিংয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবলে পথচলা শুরু করেছিল।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ কোচিং করানোর পোস্টে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৪ হাজার রিঅ্যাক্ট হয়েছে। এত সংখ্যক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিদ্রুপাত্মক ‘হাহা রিঅ্যাক্ট’ ১০ হাজার। শুধু রিঅ্যাক্টই নয়, এক হাজারের বেশি মন্তব্যের মধ্যে অধিকাংশই নেতিবাচক। অনেক সমর্থক দ্রুত তার বিদায় দাবি করেছেন। আবার কেউ তাকে সিন্ডিকেট কোচ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। এতদিন বাংলাদেশে কোচিং করালেও তাকে সমর্থন বা সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করার সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি।
Javier Cabrera sets a new record as the head coach with the most matches for the Bangladesh Men's National Football Team! #BangladeshFootball #BangladeshNationalFootballTeam #UCB
Posted by Bangladesh Football Federation on Thursday, March 27, 2025
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল নির্বাচন বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে ঘরোয়া লিগে যারা ভালো পারফর্ম করেন তাদের তিনি ডাকেন না জাতীয় দলে। আবার জাতীয় দলে ডাকলেও খেলান না। আল আমিন ঘরোয়া লিগে এবার ৭ গোল করেছেন এবং জাতীয় দলে এক মাস অনুশীলন করানোর পরও তাকে ভারত ম্যাচে এক মিনিটের জন্যও ব্যবহার করেননি। ক্যাবরেরা নিজের পছন্দের কয়েকজন খেলোয়াড়ের বাইরে যান-ই না। তারা ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়েই খেলতে পারেন না, অথচ তাদেরকে জাতীয় দলে খেলান অনেক সময়। খেলোয়াড় নির্বাচন, ম্যাচ চলাকালে বদলি ও কৌশল নিয়ে ক্যাবরেরা এতদিন সমালোচনার মধ্যেই ছিলেন। ভারত ম্যাচে প্রতিটি পদক্ষেপে সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
তিন বছরে হ্যাভিয়েরের অধীনে বাংলাদেশ ৩০ ম্যাচ খেলেছে। ৩০ ম্যাচের মধ্যে জয় মাত্র ৮টি, হার প্রায় দ্বিগুণ (১৫) এবং ড্র ৭টি। তার সর্বোচ্চ সাফল্য ২০২৩ সালে সাফে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তোলা। ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এই ফুটবল আসরে শেষ চারে খেলেছিল।
এজেড/এএইচএস