কেকেআরের কমবেশি সবাই বেটিংয়ে আসক্ত, বিস্ফোরক মন্তব্য ক্রিকেটারের!

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কমবেশি সব ক্রিকেটার বেটিংয়ে আসক্ত বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে খেলা রমনদীপ সিং। বিশেষ করে শ্রেয়াস আইয়ার যখন কেকেআরে ছিলেন, তিনি ফিফা গেমে মাস্টার ছিলেন বলে দাবি করেন এই অলরাউন্ডার।
বিজ্ঞাপন
যদিও রমনদীপ এক্ষেত্রে ম্যাচ গড়াপেটা কিংবা অনলাইন বেটিং গেমে বাজি ধরার কথা বলেননি। বরং কেকেআরের গেমিং রুমে একে অপরকে হারানোর জন্য বাজি ধরতেন বলে জানালেন পডকাস্টে। এমনকী বাজি ধরা হতো টাকার বিনিময়ে। অর্থাৎ গেমিংরুমে যখন দুই প্লেয়ার নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে নামতেন, তখন যিনি জিততেন হেরে যাওয়া খেলোয়াড়ের থেকে বাজি ধরা টাকা কামিয়ে নিতেন।
বিজ্ঞাপন
নাইট তারকা এও জানিয়েছেন, কেউ কেউ বিস্তর টাকা কামিয়ে নেন গেম জিতে। আবার অনেকেই হেরে যান। প্রতি ম্যাচে টাকার অঙ্ক ২০-২৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ পর্যন্ত পৌঁছে যায় বলে জানান রমনদীপ। আরও একটু এগিয়ে রমনদীপ হদিশ দেন যে, পোকার খেলায় এই টাকার অঙ্ক ১০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
আইপিএল ২০২৫-এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রমনদীপ সিংয়ের পডকাস্টে বলা কথাবার্তার ভিডিওতে। যাতে হদিশ মেলে আইপিএল দলের সংস্কৃতি। নিজেদের মধ্যে ফিফা গেম ও পোকারে নিয়মিত বাজি ধরার কথা স্বীকার করতে কুণ্ঠা বোধ করেননি রমনদীপ।
বিজ্ঞাপন
পডকাস্টে রমনদীপ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা একে অপরের সঙ্গে খেলার সময় বিস্তর বাজি ধরি। কেউ কেউ অনেক টাকা হেরে যায় আবার কেউ অনেক জেতে। শ্রেয়াস ফিফা গেম ভালো খেলে। কেকেআরে বিবেক পাজি দারুণ খেলে। ওকে কেউ হারাতে পারবে না। তাই ওর সঙ্গে বাজি ধরা বোকামি। আমি তো নীচে নীচে বৈভবের সঙ্গে খেলতাম অথবা সূয়াসের সঙ্গে খেলতাম। নীতীশ পাজিও ভালো খেলে। ওর সঙ্গেও খেলতাম।’
রমনদীপ পরক্ষণেই বলেন, ‘আমাদের বেট শুরু হতো ২০-২৫ হাজার থেকে। কেউ তো এক লাখ টাকা পর্যন্ত বাজি ধরত। অনেকে পোকার খেলে। ফিফা তো তবু ঠিক আছে, পোকারে লাখ লাখ টাকায় বাজি চলে।’
এফআই