ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশনে ‘ভিন্ন রকমের’ জটিলতা

ব্রাজিল কি বিশ্বকাপের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছুটা শঙ্কার মাঝেই পড়লো? আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর কেউ নতুন করে এই প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বসলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু নেই। লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন ৪র্থ স্থানে আছে সেলেসাওরা। প্রাপ্তি ২১ পয়েন্ট। আর্জেন্টিনা যখন নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে বিশ্বকাপে, তখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে অনেকটাই দূরে।
বিজ্ঞাপন
স্বাভাবিক নিয়মে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব চললে ব্রাজিলকে নিয়ে সত্যিই শঙ্কার জায়গা থেকে যেতে পারতো ভক্তদের মাঝে। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে ৪৮ দলের অংশগ্রহণ। যার কারণে বাড়ছে কনমেবল থেকে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা। চারে থাকা ব্রাজিলও কিছুটা অন্তত স্বস্তিতেই থাকবে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন নিয়ে।
তবে একেবারে খুব বেশি স্বস্তিও নেই। বাকি থাকা চার ম্যাচে অন্তত দুই ম্যাচে পা হড়কালে ব্রাজিলও পড়তে পারে বিপদের মুখে। ১৪ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন এখন পর্যন্ত ২১ পয়েন্ট। একই সমান পয়েন্ট আছে উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ে দলের। ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা কলম্বিয়ার পয়েন্ট ২০।
বিজ্ঞাপন
ব্রাজিলের পরের চার ম্যাচের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে, চিলি এবং বলিভিয়া। এদের মাঝে ইকুয়েডর এবং প্যারাগুয়ে ম্যাচের ফলাফলের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হচ্ছে। এই দুই ম্যাচ ব্রাজিলের জন্য পরীক্ষা হতে চলেছে।
বিজ্ঞাপন
আবার জটিলতা আছে ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে। শেষ চার ম্যাচের দুটি ম্যাচেই ব্রাজিলকে যেতে হতে পারে লাতিন অঞ্চলের কুখ্যাত ভেন্যুতে। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা হতে পারে কুখ্যাত লা পাজ স্টেডিয়ামে। সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৩ হাজার ৬০০ মিটার ওপরে খেলে জয় নিয়ে ফেরা বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটাও ২ হাজার ৭৬৮ মিটার উঁচুতে খেলতেও হতে পারে তাদের। এই দুই ম্যাচ নিয়েও আছে বেশ বড় প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত সেই দুই ম্যাচের ভেন্যু নিশ্চিত না হলেও অতীত ইতিহাস বলছে, নিজ দেশের কন্ডিশনের সুবিধা নিতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বলিভিয়া এবং ইকুয়েডর। শেষ পর্যন্ত তাইই যদি ঘটে থাকে, তবে ব্রাজিলের মিশন খুব একটা সহজ হচ্ছে না তা অনায়াসে বলা চলে।
জেএ