দ্রুততম সেঞ্চুরির পর বিব্রতকর রেকর্ড পাকিস্তানি ব্যাটারের

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগে তেমন আলোচিত ছিলেন না হাসান নেওয়াজ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়ে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই তিনি শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এরপর তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ফরম্যাটটিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন হাসান। তার সেই ব্যাটিং তাণ্ডবেই পাকিস্তান সিরিজের একমাত্র জয়টি পায়। পরের ম্যাচ থেকেই ফের ছন্দহীন হাসান। শেষ দুই ম্যাচে তিনি আউট ১ ও ০ রানে।
অর্থাৎ, পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচেই ডাক মেরেছেন ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার। আর তাতেই বিব্রতকর একটি রেকর্ডে হাসান নিজের নামটি তুলে ফেলেছেন। নিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ডাক মেরে বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যাটার লজ্জার কীর্তি গড়েন হাসান। সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে হতেই তৃতীয় ম্যাচে তিনি খেললেন ৪৪ বলে শতরানের ইনিংস। পাকিস্তানও ৯ উইকেটের বড় জয় পায়।
পরের দুই ম্যাচে যথারীতি রানখরায় ভুগে ক্যারিয়ার শুরুতেই ওঠা-নামার এক ছন্দ দেখিয়েছেন হাসান। চতুর্থ ম্যাচে আউট হন মাত্র ১ রানে। আর আজ অনুষ্ঠিত পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩ বলে করেছেন শূন্য। ফলে পাকিস্তানও আগে ব্যাট করতে নেমে বেশিদূর যেতে পারেনি। পূর্ণ ২০ ওভার খেললেও সর্বসাকুল্যে সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন সফরকারীরা তোলে ৯ উইকেটে ১২৮ রান। অধিনায়ক সালমান সর্বোচ্চ ৫১ এবং শাদাব খান ২৮ রান করেন। তবে তাদের ছোট পুঁজি যে জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে সেটা সহজেই টের পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
এই ম্যাচে ডাক মারা হাসান নেওয়াজ সিরিজে একই কীর্তি গড়লেন তৃতীয়বার। যা কোনো টি-টোয়েন্টি সিরজে কোনো পাকিস্তানি ওপেনারের সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড। এর আগে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এক সিরিজে সর্বোচ্চ দুটি করে ডাক মারার নজির রয়েছে পাকিস্তানের তিনজনের। শাহজাইব হাসান, মোহাম্মদ হাফিজ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান সেই তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। তাদের আজ মুক্তি দিলেন হাসান নেওয়াজ।
হাসানের এই লজ্জার রেকর্ড গড়ার পর নিউজিল্যান্ডও পাকিস্তানকে হেসেখেলে উড়িয়ে দিয়েছে। লক্ষ্য তাড়ায় আগপিছ না ভেবেই পাক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন দুই স্বাগতিক ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। বিশেষ করে সেইফার্ট কাউকেই সমীহ করে ব্যাট চালাননি। মাত্র ৩৮ বলে ৬টি চার ও ১০ ছক্কায় অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া অ্যালেন ১২ বলে ২৭ রান করেন। কিউইরাও মাত্র ১০ ওভারে ১৩১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেছে।
এএইচএস