তামিমের জন্য বন্ডে সাইন করা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল: দেবব্রত পাল

সাভারের কেপিজি হাসপাতাল থেকে তামিম ইকবাল বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সোমবার বিকেএসপিতে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপরের মুহূর্তগুলো পার হয়েছে খুব দ্রুত আর সঙ্গে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
বিজ্ঞাপন
গেল সোমবার যখন তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে তার হার্টে রিং পরানোর আগে কিছু কাগুজে আনুষ্ঠানিকতা সারতে হয়েছিল। রিং পরানোর জন্য একটি অপারেশন লেগেছিল। সাধারণত এই ধরনের চিকিৎসার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মতি বা বন্ড নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সাভারে সেই সময় তামিমের পরিবারের কেউ ছিলেন না।
স্ত্রী বা বড় ভাই নাফিস ইকবাল কিংবা রক্তের সম্পর্কীয় ছিলেন না কেউই। কিন্তু পরিবারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার মতো অবস্থাও ছিল না সেই সময়ে। যে কারণে তামিমের অপারেশনের বন্ডে স্বাক্ষর করার দায়িত্ব নেন ডিপিএলের ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। সাবেক প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেটার সব সময় ক্রিকেটারদের পাশে থাকেন। চিকিৎসকরাও ওই সম্মতিপত্র গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
শুরু থেকে সেই প্রক্রিয়ার কথা ঢাকা পোস্টকে স্পষ্ট করে জানালেন জানালেন দেবব্রত, ‘এটা তো অনেক কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। এগুলো তো সাধারণত পরিবারের লোকজনরাই করে থাকে। কেউ তখন ছিল না এ কারণে তো আমাকে সাইন করতে হলো। তো তখন ওখানে লেখা ছিল সম্পর্ক কি আমার সাথে তার। আমি সেখানে কলিগ লিখলাম।’
বিজ্ঞাপন
দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমি সাইন করার আগেও নাফিস ইকবালের সাথে কথা বলেছিলাম। বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক ভাইয়ের সাথে কথা বলেছিলাম। তারা সবাই বলেছে যে সাইন করতে। তামিমের সাথে দেখা হয়েছিল সোমবারই। ও চোখ খুলেছিল আমার দিকে তাকিয়েছিল। আমি না করেছিলাম কথা বলতে। এখন ভালো আছে, গতকালকে আমরা আর কেউ ভিতরে যায়নি। নাফিস, তামিমের স্ত্রী ওরা সবাই আছে।’
এসএইচ/জেএ