ভারতের অনুশীলন নিয়ে ধূম্রজাল!

সকাল গড়িয়ে দুপুর। বাংলাদেশের অনুশীলন কাভারের জন্য অপেক্ষায় শিলংয়ে আসা বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। নেহু গ্রাউন্ড না গতকালের টার্ফে অনুশীলন এটা বিকেল তিনটার দিকে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। অন্য দিকে ভারত নাকি ম্যাচ ভেন্যুতে সকালে অনুশীলন করেছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান আজ অনুশীলন ভেন্যুতে এসেই বলেন, 'আজকেও ভারত মূল পিচে (ম্যাচ ভেন্যুতে) অনুশীলন করেছে। আর আমাদেরকে এই মাঠ (সংলগ্ন টার্ফে) দিয়েছে। এটা কাল নির্ধারিত থাকলেও সকালে বলেছিল নেহু গ্রাউন্ডে যেতে। যা পরিকল্পনা নষ্ট করার মতো। অনেক আলোচনার পর এখানেই শেষ পর্যন্ত হচ্ছে।’
ভারতীয় ফুটবল দলের মিডিয়া ম্যানেজার সৌম ঘোষ অবশ্য বললেন, 'আজ দুপুর দুইটায় অনুশীলন হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির জন্য সেটা বাতিল হয়েছে। কোনো অনুশীলন হয়নি।' ভারত স্বাগতিক দল ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন করতেই পারে। এটা তাদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে এবং আন্তর্জাতিক আইনেও সিদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
জওহরলাল স্টেডিয়ামে দুপুরের দিকে বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন। তারা ভারতের দলের সাবেক অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীসহ কয়েকজনকে গাড়িতে যেতে দেখেন। স্টেডিয়ামে বাড়তি নিরাপত্তাও ছিল। বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিক স্টেডিয়ামের কয়েকজন স্টাফের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়েছেন ভারত দল এখানে অনুশীলন করেছে।
বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ও বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের তথ্যের মধ্যে সামঞ্জ্যসতা রয়েছে। এই দুই তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় মিডিয়া ম্যানেজারকে পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের দলের ম্যানেজার বা অন্য যে যাই বলুক আমার কাছে তথ্য আজ ভারত দলের অনুশীলন হয়নি।' বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সময় ভারতের কয়েকজন সাংবাদিক এসেছিলেন। তাদের কয়েকজনও বললেন, 'মিডিয়া ম্যানেজার আমাদের জানিয়েছে আজ বৃষ্টির জন্য অনুশীলন বাতিল হয়েছে।'
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সুনীল ছেত্রীকে স্টেডিয়ামের সামনে গাড়িতে দেখেছেন। অনুশীলনের সময় মেডিক্যাল বা অন্য যে ব্যবস্থা থাকে এর প্রায়ই সবই চোখে পড়েছে তাদের গাড়ি বহরের সঙ্গে। এরপরও ভারত দলের পক্ষ থেকে অনুশীলন না হওয়ার ঘোষণা বেশ ধূম্রজালের সৃষ্টি করেছে।
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আর ৪৮ ঘন্টা বাকি। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়ছে। বাংলাদেশ দল ভারতে আসার পর থেকে অনুশীলন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেই যাচ্ছে। অন্য দিকে আজ স্বাগতিক ভারতের অনুশীলন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল।
এজেড/এইচজেএস