ভারতীয় মিডিয়ার মতে হাজার কোটি লোকসান পাকিস্তানের, যা বলছে পিসিবি

হাইব্রিড মডেল অনুসারে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হয়েছিল যৌথভাবে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে। ফলে আয়োজক হলেও প্রায় সমান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুবাইয়ে। এর ভেতর আবার পাকিস্তানে দুটি ম্যাচ সম্পূর্ণ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। সবমিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে খবর জানিয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে পিসিবি।
বিজ্ঞাপন
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছিল– চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করে পিসিবির ৮৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০৩২ কোটি টাকা) লোকসান হয়েছে। বিশেষত নিজেদের মাত্র একটি ম্যাচ আয়োজন করতে পেরেছিল দেশটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। আর ভারতের সঙ্গে ম্যাচ হয় দুবাইয়ে। এ ছাড়া টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতের কারণে সেমিফাইনাল-ফাইনাল এবং গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি (আরব আমিরাত) আয়োজন করেছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) ব্যাখা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন পিসিবি সভাপতির পরামর্শক আমির মির ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জাভেদ মুরতাজা। ভারতীয় মিডিয়া ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে দাবি করে আমির মির বলেন, ‘পাকিস্তান-বিরোধী উপাদান নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডার দোকান খুলে বসেছে। যা আমরা পরিষ্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। দুর্ভাগ্যবশত কিছু পাকিস্তানি মিডিয়াও সেসব খবর প্রচার করছে।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এমনকি পিসিবি টুর্নামেন্টটি আয়োজনে কোনো খরচই করেনি, আইসিসিই ৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বলেও দাবি এই পিসিবি কর্মকর্তার। আমির মির জানিয়েছেন, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পিসিবি কোনো অর্থই খরচ করেনি, ৭০ মিলিয়ন ডলারের পুরো অর্থ আইসিসি বহন করেছে। তবে এখনও পুরো অডিট সম্পন্ন হয়নি।’ পিসিবির খরচের খাত উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, ‘পিসিবি কেবল সরকারকে ৪ বিলিয়ন রুপি ট্যাক্স হিসেবে দিয়েছে, যখন ফাইন্যান্সিয়াল রিজার্ভ বেড়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও সফলভাবে আয়োজন করা হয়। কারণ বেশিরভাগ দলই এখানে খেলেছে।’
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, পিসিবির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জাভেদ মুরতাজার মতে— পিসিবি প্রায় ১০০ কোটি রুপি আয় করেনি কেবল, অডিট শেষ হওয়ার পরে এই অর্থ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ার জন্য যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য আইসিসির কাছ থেকে আরও ৯৩ কোটি রুপি পিসিবি পাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এএইচএস