৬২ কোটির বাজেটে ঘাটতি ৫, বীমার আওতায় আসছেন ফুটবলাররা

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ বিকেলে ভারতের শিলংয়ে পৌঁছেছে। সেই সময় বাফুফে কর্মকর্তারা বসেছিলেন নির্বাহী সভায়। আজকের সভায় বাফুফের ২০২৫ সালের বাজেট পাস হয়েছে। এ ছাড়া বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে ফুটবলারদের।
আড়াই ঘণ্টার সভার শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাজেট পাসের কথা বললেও আর্থিক অঙ্ক বলেননি। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা গেছে, প্রায় ৬২ কোটি টাকার বাজেট আজকের সভায় পাস হয়েছে। সেখানে সম্ভাব্য আয় ৫৭ কোটি, ফলে ঘাটতি বাজেট পাঁচ কোটি।
২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনের দিন ২০২৫ সালের বাজেট ৬১ কোটি ৫২ লাখ টাকা উপস্থাপিত হয়েছিল। বার্ষিক সাধারণ সভায় সেই বাজেট পাস হয়নি। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাস পর সেই বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। যদিও আরেকটি সাধারণ সভায় এটি উঠানোর প্রস্তাবনা ছিল নির্বাচনী সাধারণ সভায়। ৬১ কোটি টাকার বাজেটের আয়-ব্যয় ছিল মাত্র এক পৃষ্ঠায়। সুনির্দিষ্ট আয়-ব্যয়ের খাতের ব্যাখা ছিল না। এ নিয়ে কাউন্সিলররা আপত্তি তুলেছিলেন। তাই আজকের সভায় পাস হওয়া বাজেটের ফর্দ ছিল একশ পাতার কাছাকাছি।
বাফুফে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছে যেমন ঋণী, তেমনি আবার পাওনাও রয়েছে। স্পন্সরশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফের দাবি– কে স্পোর্টস-বসুন্ধরার কাছে কয়েক কোটি টাকা পাওনা। এ নিয়ে আজকের সভায় খানিকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। কে স্পোর্টস-বসুন্ধরা ও বাফুফে ত্রিপক্ষীয় লেনদেনে কিছু বিষয় অমীমাংসিত। আন্তঃলেনদেনের বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখবে বাফুফের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি।
ফুটবল ইনজুরিপ্রবণ খেলা। অনেক তরুণ-তরুণী ফুটবল থেকে বিমুখ হন ইনজুরির জন্য, আবার অনেকের জীবনও শঙ্কার মধ্যে পড়ে। আজকের সভায় জাতীয় দলের পাশাপাশি জুনিয়র-বয়সভিত্তিক পর্যায়েও ফুটবলারদের ইনজুরিতে পড়লে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সহায়তার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে কমিটির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের ইনজুরির জন্য হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। এজন্য তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করব। এটা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তি করব শিগগিরই। এতে ফুটবলাররা বীমার আওতায় আসবে।’
আরও পড়ুন
বাফুফের সঙ্গে এক সময় প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পার্টনার হিসেবে ছিল। এর মাধ্যমে জাতীয় ফুটবলাররা ছিলেন বীমার আওতায়। এরপর আর সেই উদ্যোগ চলমান থাকেনি। বাফুফে এবার আরও একটু বড় পরিসরে খেলোয়াড়দের বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ ভালো সিদ্ধান্ত হলেও বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান এটি ব্রিফিংয়ে অবহিত করেননি।
আজকের সভায় দশটি আলোচ্যসূচি ছিল। বাজেট ও আর্থিক বিষয়ে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। বাফুফে মাথাভারী প্রশাসন এবং স্টাফদের আর্থিক বিষয়াদি নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণও হয়েছে। আজকের সভায় এইচআর পলিসি অনুমোদিত হয়। ইফতারের সময় নিকটবর্তী হওয়ায় আলোচনা হয়নি রেফারিজ কমিটি গঠন ও আরও কয়েকটি বিষয়ে। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝিতে আরেকটি নির্বাহী সভায় এসব বিষয় আবারও আলোচ্যসূচিতে থাকবে।
এজেড/এএইচএস