হামজা ডামাডোলে আড়ালে বাংলাদেশের অপূর্ণাঙ্গ প্রস্ততি

হামজা চৌধুরীর দিকেই যেন সবার নজর। গতকাল বাংলাদেশের সিলেটে পা রাখার পর থেকে দেশের ফুটবলের সব নজর তার দিকেই। হামজা নামের সেই উন্মাদনার আড়ালে চাপা পড়েছে অন্য এক খবর। সৌদি আরব থেকে কেবল এক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
দুই সপ্তাহের বিশেষ ক্যাম্পে বাংলাদেশ দল সৌদি গিয়েছিল। পরিকল্পনায় ছিল তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। বিশেষ করে সুদানের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। সুদান আভ্যন্তরীণ কারণে খেলতে না পারায় সৌদির স্থানীয় দুই ক্লাবের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত একটি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরল বাংলাদেশ।
এতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি পরিপূর্ণ না হলেও কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ঢাকায় ফেরার আগে সৌদি থেকে শেষ বার্তায় বলেছিলেন, ‘সৌদিতে প্রায় দুই সপ্তাহের ক্যাম্প খুবই ভালো হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান পরবর্তীতে আরেকটি ম্যাচ না খেলার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা ও আরো কয়েকটি বিষয় চিন্তা করে কোচ সৌদি কোনো ক্লাবের সঙ্গে খেলার চেয়ে নিজেদের মধ্যেই একটি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় শেষ দিকে।’
বিজ্ঞাপন
আজ সকালে সৌদি আরবের তায়েফ থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ইতালিয়ান প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল তায়েফে সপ্তাহ খানেক ক্যাম্প করলেও ঢাকায় ফিরেননি। ইতালি থেকে ৯ মার্চ ক্যাম্পে যোগ দেন ফাহমিদুল। একটা অনুশীলন ম্যাচও খেলেছেন। এরপরেই ফিরেছেন ইতালিতে।
বাংলাদেশের ফুটবলে গত তিন বছর সৌদি আরবে যাত্রার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ২০২৩-২০২৫ টানা তিন বছর ফিফার মার্চ উইন্ডোতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করাচ্ছেন সৌদি আরবে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন থাকা-খাওয়া, অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যয় বহন করলেও, বাফুফের বিমান ও আনুষঙ্গিক খরচ তিন সফর মিলিয়ে কোটি টাকার কাছাকাছি।
এত অর্থ ব্যয় করে সৌদিতে ক্যাম্প করে বাস্তবিক অর্থে কোনো ফলাফলই আসেনি গত দুই বছর। এবারে ভিন্ন কিছু ফলাফল আসে কি না, সেটাই দেঝার অপেক্ষা।
এজেড /জেএ