বাজবল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় টিকবে না : ওয়ার্নার

বাজবল কৌশল দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সাফল্যের দেখা পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই বাজবল কৌশল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী অ্যাশেজ সিরিজে কোনো কাজে দেবে না বলে মনে করেন সাবেক ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার জানান, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বাজবল কৌশল ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্য পাওয়া যাবে না। কারণ অস্ট্রেলিয়া দলে বিশ্বমানের বোলার আছে।
২০২১-২০২২ মৌসুমে ১৭ টেস্ট খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর ২০২২ সালে মে’তে ইংল্যান্ডের কোচ ও অধিনায়কের পদে রদবদল হয়। কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়কের দায়িত্ব নেন বেন স্টোকস।
স্টোকসকে সাথে নিয়ে ইংল্যান্ডের খেলার ধরণ পাল্টে দেন ম্যাককালাম। আগ্রাসী ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে লড়াই করার সুযোগ না দিয়ে একের পর এক সাফল্য তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এমন কৌশলকে ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককালাম নাম দেন ‘বাজবল’। কারণ ম্যাককালামের ডাক নাম ছিল ‘বাজ’ আর ক্রিকেট বলের কারণে ‘বল’।
কিন্তু বিদেশের মাটিতে গেল চার সিরিজের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের সাথে ড্র করলেও, ভারত ও পাকিস্তানের কাছে টেস্ট সিরিজ হারে তারা। তাই বিদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বাজবল কৌশল কাজে দিবে না বলে মনে করেন ওয়ার্নার।
আগামী নভেম্বরে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর করবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের বাজবল কৌশল ঝুঁকিপূর্ণ হবে জানিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়াই ফেভারিট। শুধুমাত্র কন্ডিশন বিবেচনায় নয় অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিভাগে ১ হাজার ৪০০ আন্তর্জাতিক বা টেস্ট উইকেট আছে। তারা বিশ্বমানের বোলার, সবসময়ই ঘুরে দাঁড়াবে এবং এটাই ইংল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা হবে।’
ওয়ার্নারের মতে, অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেট ও অভিজ্ঞ বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে ইংল্যান্ডের বাজবল কৌশল। ১১২ টেস্ট খেলে ৮,৭৮৬ রান করা ওয়ার্নার বলেন, ‘আমি জানি না, বাজবল মিথ কিনা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেট ও অন্য সবকিছু বিবেচনায় এবং ইংল্যান্ডে গতবার যে ধরণের ফিল্ডিং সাজানো হয়েছিল তাতে বাজবল কাজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় এমন ঘরানার ক্রিকেট খেলা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’ উল্লেখ্য, আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে অ্যাশেজ সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
এফআই