নিজ দেশের ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন জোকোভিচ

সরকারি হিসেব বলছে রাজধানী বেলগ্রেডের রাস্তায় নেমেছে ১ লাখের বেশি মানুষ। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি-এর এক সূত্রের দাবি, সার্বিয়ার রাস্তায় গতকাল রাতে জড়ো হয়েছিলেন ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। একটি কার্যকর রাষ্ট্রের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। যার নেতৃত্বে আছে দেশটির ছাত্রসমাজ। আর সেই আন্দোলনের পাশে নিজের আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন সার্বিয়ার ক্রীড়াজগতের সবচেয়ে বড় তারকা নোভাক জোকোভিচ।
টেনিসের ইতিহাসে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার নোভাক জোকোভিচের। নামের পাশে ২৪ গ্র্যান্ডস্ল্যাম। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে দেশের হয়ে জিতেছেন স্বর্ণপদক। অনেকেরই মতে সার্বিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নামী ক্রীড়াব্যক্তিত্ব নোভাক জোকোভিচ। টেনিস মাঠের এই কিংবদন্তি বুঝিয়ে দিলেন, কেবল মাঠেই থেমে নেই তার পদচারণা। দরকারে থাকতে পারেন সাধারণ মানুষের পাশে।
সার্বিয়াতে এক রেলস্টেশন ধসে পড়ার পর থেকে শুরু হয় এই আন্দোলন। গত ১৫ নভেম্বর নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, স্টেশন তৈরির সময় দুর্নীতি না করলে এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো না।
ছাত্রদের এই আন্দোলনের মুখে গত নভেম্বর মাসেই পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিচারের আওতায় আসেননি কেউই। গতকাল ১৫ই মার্চ ‘ফিফটিন ফর ফিফটিন’ নামে রাস্তায় নেমে আসেন লাখ লাখ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘তারা এমন এক রাষ্ট্র চান যা সঠিকভাবে কাজ করবে। ক্ষমতায় যেইই থাকুক, ন্যায়বিচারের জন্য ৪ মাস অপেক্ষা করতে রাজি নন সার্বিয়ার এসব বিক্ষোভকারী।
ছাত্রদের নেতৃত্বে চলমান এই আন্দোলনে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন নোভাক জোকোভিচও। নিজের ইন্সটাগ্রামে আন্দোলনের ছবি এবং ভিডিও স্টোরি দিয়েছেন। তাতে লিখেছেন ‘ইতিহাস! অসাধারণ’।
আরও পড়ুন
এর আগে গত জানুয়ারি মাসেও সার্বিয়ার ছাত্রদের পাশে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন জোকোভিচ। সহজভাবেই বলেছিলেন, ‘কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব নিয়ে আমি বসে থাকতে পারি না।’ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বলেছিলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে তাদের প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।’
জেএ