ফুটবলের পর ভিন্নধর্মী খেলায় বিনিয়োগ করছেন এমবাপে

ফুটবল ক্লাব কেনা কিংবা তাতে নিজেদের শেয়ার বিনিয়োগ করায় সাধারণত তারকা ফুটবলারদের ঝোঁক থাকে। সেই দলে আগেই নাম লিখিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। এবার তিনি ভিন্নধর্মী একটি খেলায়ও নিজেকে যুক্ত করেছেন। ‘সমুদ্রের ফর্মুলা ওয়ান’খ্যাত ‘মার সি ফর্মুলা ১’ টুর্নামেন্টের দল ফ্রান্স সেইলজিপি দলে বিনিয়োগ করেছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। যেখানে বিশ্বের ১২টি জাতীয় দল অংশগ্রহণ করে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী এই অ্যাথলেট এর আগে জার্মানির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘লোয়ে’ এবং বিলাসবহুল ঘড়ি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ‘রিস্টচেক’–এ বিনিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া ফ্রান্সের দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ‘কায়েন’ ক্লাবের মালিকানাও নিয়েছেন এমবাপে। ফরাসি অধিনায়ক সেখানেই নিজেকে আটকে রাখলেন না, নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সমুদ্রের রেসিং প্রতিযোগিতায়ও তিনি অন্তর্ভূক্ত করলেন নিজেকে।
ফুটবলের বাইরে এমবাপের এসব বাণিজ্যিক কাজে দেখভাল করছে তার কেএম ফাউন্ডেশন ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কোয়ালিশন ক্যাপিটাল। গতকাল (শুক্রবার) কোয়ালিশন ক্যাপিটালই এমবাপের নতুন বিনিয়োগের খবর জানিয়েছে। রেসিং টুর্নামেন্ট সেইলজিপির প্রধান নির্বাহী রাসেল কোটস জানিয়েছেন, ‘আমাদের সেইলজিপি পরিবারে অংশীদার ও বিনিয়োগকারী হিসেবে কিলিয়ান এমবাপেকে স্বাগত জানানোর মতো রোমাঞ্চকর কিছু হতে পারে না। সন্দেহাতীতভাবে তিনি বর্তমান সময়ে অন্যতম প্রভাবশালী অ্যাথলেট এবং বিশ্বজুড়ে ক্রীড়ামোদীদের কাছেও প্রেরণার উৎস।’
— SailGP (@SailGP) March 14, 2025
এমবাপে অবশ্য ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম তারকা নন, এর আগে বক্সার থেকে শুরু করে আমেরিকান এনএফএল তারকারাও সমুদ্রের এই রেসিং প্রতিযোগিতায় দল কিনেছিল। বয়সটা ২৬ বছর হলেও ধনসম্পদে অনেক জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ তারকাদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে চলেছেন এমবাপে। আমেরিকান বিজনেস আউটলেট ‘ফোর্বস’–এর তথ্যমতে, এই ফরাসি অধিনায়ক ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়কারী অ্যাথলেটদের মধ্যে ষষ্ঠ। বছরে তার উপার্জন ১১০ মিলিয়ন ডলার। তবে আনুষঙ্গিক আরও নানা বিষয় মিলিয়ে তার বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১৮০ মিলিয়ন ডলারে।
আরও পড়ুন
নতুন কোনো ক্রীড়া ইভেন্টে যুক্ত হয়ে এমবাপেও বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘কেএম দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমি বিশ্বের নানা পর্যায়ের তরুণদের কাছে পৌঁছাতে চাই এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেন নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যে বিশ্বাস করে সেটি তৈরি করতে আগ্রহী। আমাদের ‘‘উই কেয়ার অল প্রোগ্রাম’’ কার্যক্রমের মাধ্যমে যাদের সহায়তা প্রয়োজন আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়তে চাই, যেখানে তরুণরা নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখবে এবং দারুণ কিছু অর্জন করবে।’
এএইচএস