বাবর-রিজওয়ান-আফ্রিদিকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তান কোচ

কোনো ম্যাচ না জিতেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ফলে চলমান সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তারা কেবলই দর্শক। এরই মাঝে আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। যেখানে বাবর-রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকলেও, বাদ পড়েছেন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। ফলে তারা সংক্ষিপ্ত সংস্করণ থেকে একেবারেই বাদ কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে!
আগামী ১৬ মার্চ থেকে কিউইদের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি দিয়ে দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে নামবে পাকিস্তান। এরপর তারা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। যার জন্য আজ (মঙ্গলবার) পাকিস্তানের দুই ফরম্যাটের দল ঘোষণা করে পিসিবি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদ ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া সালমান আলি আগা। যেখানে পাক কোচ বাবর-রিজওয়ানদের বাদ পড়া নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘এটি কোনো স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়, শুধুমাত্র আসন্ন সফরে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা তরুণ ক্রিকেটারদের পরিচিত করানো এবং খেলার ধরন ও মাইন্ডসেটেও পরিবর্তন আনতে চাই। অনেক দলই তাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ৮০-৯০ শতাংশ (অন্য ফরম্যাটের চেয়ে) ভিন্ন রাখে। যাইহোক, আমার মতে বর্তমান সেটআপে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে দুয়েকজনকে এখনও প্রয়োজন।’

পরবর্তী এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাতে চান এই পাকিস্তানি কোচ, ‘যদি আপনি স্কোয়াডের দিকে তাকান, যখন সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরবে, তখন দল শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের লক্ষ্য ২৪-২৫ ক্রিকেটারকে সবসময় একসঙ্গে পাওয়া। যাতে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে সেখানে খুব একটা কমতি না থাকে। টুর্নামেন্টের আগে ভালো মাইন্ডসেট প্রস্তুতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
শাহিন আফ্রিদির বোলিংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পুরোনো ধার দেখা মিলছে না। এরপর তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলেও বাদ পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে কোচ আকিব জাভেদ বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা দেখি একজন ক্রিকেটার দলে কতটুকু নিজের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা তৈরি করভে। যদি একজন ক্রিকেটার সেসব পূরণ করতে না পারেন, সেটি অবশ্যই উদ্বেগের। অন্যদিকে, হারিস বা শাহিনের মতো ক্রিকেটাররা এখনও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারে বলে মনে করি। তবে এর মানে এই না যে তারা সবসময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই খেলবে। সবমিলিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই নির্বাচকদের কাজ।’
আরও পড়ুন
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেও ডাক পাননি উসামা মির। যা নিয়ে পাকিস্তানি কোচের যুক্তি— ‘উসামা মিরের বাদ পড়াটা মূলত ফিটনেসজনিত কারণে। আমরা তাকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এখানে কোনো দ্বিধার সুযোগ নেই। যেমন সুফিয়ান মুকিম টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আছে, কারণ সে ভিন্ন এঙ্গেল থেকে বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিন করতে পারে। এর বাইরে আবরার আহমেদও আছে, সেও রহস্যময় স্পিনার এবং ভালো করে আসছে। এ ছাড়া রিস্ট স্পিনারকে এমনও হতে হবে, সে সাতে নেমে ব্যাটিংও করতে পারে। যাতে দলে ভারসাম্য তৈরি হয়।’
এএইচএস