হৃদয়ের সেঞ্চুরি-শামির ফাইফারের ম্যাচে যত রেকর্ড

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাইতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিকের ইতিহাসগড়া ব্যাটিং তাদের বিব্রতকর স্কোরবোর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে করেছে ২২৮ রান। সবমিলিয়ে প্রথম ইনিংসে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও হয়েছে।
এদিন (বৃহস্পতিবার) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছেন হৃদয়। যদিও ক্র্যাম্প নিয়ে শেষদিকে বেশ বড় একটা সময় তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলতে হয়েছে। যদিও তিনিই প্রথম নন। এমন কীর্তি আছে বাংলাদেশের আরও এক ব্যাটারের। এ ছাড়া ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট শিকারের পথে দ্রুততম ২০০ উইকেট এবং বিরাট কোহলি ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম ইনিংসে যত রেকর্ড
১০০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন হৃদয়। এর আগে প্রথম ওই রেকর্ড ছিল তামিম ইকবালের। সবমিলিয়ে হৃদয় নবম ক্রিকেটার হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় নিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। এ ছাড়া নন-ওপেনার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান।
এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে পাঁচজন সেঞ্চুরি পেয়েছেন। হৃদয়ের আগে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন– তামিম, সাকিব আল হাসান, শাহরিয়ার নাফিস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৫৪
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ষষ্ঠ বা তার নিচের উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৩১ রানের রেকর্ড হয়েছিল ১৯ বছর আগে। যা আজ নিজেদের দখলে নিয়েছেন হৃদয়-জাকের। একই উইকেটে এটি ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো দলেরই রেকর্ড জুটি।
ইতিহাসগড়া জুটির পথে হৃদয়-জাকের দুজনই ফিফটি পেয়েছেন। জাভেদ ওমর বেলিম (২০০০), সাকিব আল হাসান (২০০৬), তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের (২০১৭) পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিষেকে ফিফটি করলেন হৃদয়-জাকের। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৭ বা এরপর নেমে ভারতের বিপক্ষে প্রথম এশিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে জাকের ফিফটির রেকর্ড গড়েন।
১৫৬
ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ (ফিল্ডার হিসেবে) ১৫৬টি ক্যাচের রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। তার সমান উইকেট নিয়েছেন সাবেক তারকা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। এ ছাড়া শচীন টেন্ডুলকার ১৪০, রাহুল দ্রাবিড় ১২৪ ও সুরেশ রায়না ওয়ানডেতে ১০২টি ক্যাচ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
৬০
ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন শামি। ডানহাতি এই পেসারের শিকার ৬০ উইকেট। এতদিন জহির খান বিশ্বকাপ-চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন। এ ছাড়া জাভাগাল শ্রীনাথ ৪৭ ও রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।
এ ছাড়া বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাওয়ার প্লেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ উইকেট পেয়েছেন শামি। ২৬টি উইকেট নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।
৫
ভারতের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটের ফাইফার পূর্ণ করেছেন শামি। সেরা বোলিং ফিগারেও (৫৩/৫) তার অবস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে থাকা জাদেজার ২০১৩ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিং ফিগার ছিল ৩৬/৫।
২০০
ম্যাচের হিসাবে ওয়ানডেতে উইকেট শিকারে দ্বিতীয় দ্রুততম ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করেছেন শামি। তার সমান ১০৪ ম্যাচে ২০০ উইকেটের মাইলফলক পূর্ণ করেন পাক কিংবদন্তি সাকলাইন মুশতাক। এ ছাড়া ১০২ ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট নিয়ে এই কীর্তিতে শীর্ষে মিচেল স্টার্ক।
তবে বলের হিসাবে শামি সবচেয়ে দ্রুততম। ৫১২৬ ডেলিভারিতে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট শিকার করেছেন এই ভারতীয় পেসার। দুইয়ে থাকা স্টার্ক এই কীর্তি গড়তে করেছেন ৫২৪০ বল। আর সাকলাইন মুশতাক করেন ৫৪৫১ বল।
এএইচএস