একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাননি ব্রিটিশ কোচ বাটলার

আজ সকালে জাতীয় স্টেডিয়ামে নারী ফুটবল দলকে অনুশীলন করিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। অনুশীলনের ঘণ্টা তিন-চারেক পরেই স্টেডিয়ামের নিকটস্থ ওসমানী মিলনায়তনে ছিল একুশে পদক অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণপত্র পেয়েও যাননি সেই অনুষ্ঠানে। সকালে অনুশীলন সেশনে তার কোচিং স্টাফদের জানিয়েছিলেন তিনি এই অনুষ্ঠানে যাবেন না।
সাফ জয়ী দলের ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জন ব্রিটিশ কোচ বাটলারকে বয়কট করে চলছেন। বাটলার দ্বিতীয় মেয়াদে নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাবিনাদের মুখোমুখি এখনো হননি। আজ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়-কোচের সম্মিলিন হওয়ার উপলক্ষ্য ছিল। সেটা যেন প্রকারান্তরে এড়িয়ে গেলেন ব্রিটিশ কোচ বাটলার। ফেডারেশনের সভাপতির অনুরোধের পরও তিনি নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বিরোধ এড়িয়ে চলছেন সেটা অনেকটাই স্পষ্টত আজ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি।
খেলোযাড়, কোচ, কর্মকর্তা মিলিয়ে সাফে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ছিল ৩২ জনের। প্রধান কোচ বাটলার ছাড়াও সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু এবং গোলরক্ষক কোচ মেহেদী হাসান উজ্জ্বলও আজকের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন শারীরিক অসুস্থতা ও আরেক জন পারিবারিক সমস্যার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান। বাটলারের অনুপস্থিতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
সাফ কন্টিনজেন্টে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ছিলেন বাফুফের নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান (ফেডাশেনের নির্বাচনের জন্য শুধু ফাইনালের আগে উপস্থিত হন)। কন্টিনজেন্টের প্রধান হিসেবে সকল খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাকে নিয়ে হাজির হওয়া তার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অথচ তিনি প্রধান কোচের অনুপস্থিতি নিয়ে কিছুই বলতে পারলেন না, ‘আমাকে ফেডারেশন থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে উপস্থিত থাকতে বলা হয় সবাই একসঙ্গে যাবে। আমি নির্ধারিত সময়ে এসেছি। পরবর্তীতে শুনলাম হেড কোচ ও আরো কয়েকজন অনুপস্থিত। সবাইকে বলা হয়েছে এরপরও কেন অনুপস্থিত সেটা আমার জানা নেই।’
দলনেতা হিসেবে শুধু পুরস্কার গ্রহণ মঞ্চ ও মাঝে মধ্যে মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় টিপু সুলতানকে। নারী ফুটবলের চলমান সংকট নিরসনে তার কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। আজ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পুরো দল সুশৃঙ্খলভাবে নেয়ার ক্ষেত্রেও দায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলনেতা, ম্যানেজার যিনিই থাকুক বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মূল কর্তৃত্ব নারী উই্ংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের হাতেই এক যুগের বেশি সময়। দেশের বাইরে থাকায় হেড কোচের অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মাহফুজা আক্তার কিরণ।
সাফের কন্টিনজেন্ট ছাড়াও বাফুফে ৭ জন কর্মকর্তাও আমন্ত্রিত ছিলেন। সভাপতি (দেশের বাইরে), সিনিয়র সহ-সভাপতি এই অনুষ্ঠানে যাননি। নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ দেশের বাইরে থাকায় তিনিও অনুপস্থিত। চার সহ-সভাপতির মধ্যে একজন (সাব্বির আহমেদ আরেফ) ও নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ইকবাল হোসেন, গোলাম গাউস, কামরুল ইসলাম হিল্টন, সাখওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন,আমিরুল ইসলাম বাবু। এদের সঙ্গে ছিলেন ফেডারেশনের বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। বাফুফের নির্বাহী কমিটি ২১ জনের। এর মধ্যে ১৫ জনই সদস্য। সবাই বিষয়টি অবগত হয়নি এবং কারা কোন ভিত্তিতে যাচ্ছেন সেটাও না জানায় অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এজেড/এফআই