সংখ্যার পাতায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

৫ম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইসিসি নকআউট নামে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট এখন ৮ দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। আইসিসি টুর্নামেন্টের বিচারে একমাত্র এই আসরেই সেরা চারে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে হিসেবে এটা বাংলাদেশের জন্য বলা চলে সৌভাগ্যের প্রতীক। তবে সেটাও প্রায় ৮ বছর আগের কথা। সময়ের পরিক্রমায় বদলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের হালচাল।
পালাবদলের হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। ২০১৭ সালের সেই দলের অনেকেই এখন জাতীয় দল তো বটেই ক্রিকেটের বাইরে দিন পার করছেন। তবু নিজেদের অতীতের প্রেরণা আর তারুণ্যের ওপর ভর করে বাংলাদেশ আরও একবার স্বপ্ন দেখছে ভালো কিছু করার।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেও বলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এবারের আসরের জন্য রওনা দেবে টিম বাংলাদেশ। কোচ ফিল সিমন্সেরও বিশ্বাস বাংলাদেশের পক্ষে এমন এক বৈশ্বিক আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের আগে একবারে দেখে আসা যাক বাংলাদেশের এই টুর্নামেন্টের অতীত রেকর্ডের দখল রেখেছেন কে কে
২৯৩ - তামিম ইকবাল
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। টাইগারদের রানের রেকর্ডের পাতায় বেশিরভাগ রেকর্ডই তামিম ইকবালের দখলে। সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও চট্টগ্রামের এই ড্যাশিং ব্যাটার। দুইয়ে আছেন ২৭১ রান করা সাকিব আল হাসান। দেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস এই টুর্নামেন্টে করেছেন ৩ ম্যাচে ১৬৬ রান।
১২৮ - তামিম ইকবাল
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এই রেকর্ডও তামিম ইকবালের দখলে। লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৭ আসরে ১৪২ বলে ১২৮ করেছিলেন তামিম। জয়পুরে ২০০৬ আসরে শাহরিয়ার নাফিস করেছিলেন ১২৩ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর দুই সেঞ্চুরি আছে এরপরেই।
৮৩.০০ - শাহরিয়ার নাফিস
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি গড় শাহরিয়ার নাফিসের। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ আসরে ৩ ম্যাচে ১৬৬ রান করেছিলেন নাফিস। গড় ছিল ৮৩.০০। তামিম ইকবালের গড় ৭৩.২৫।
৮ - খালেদ মাহমুদ ও রফিক
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন এবং মোহাম্মদ রফিক। দুজনেই খেলেছেন ৮ ম্যাচ। মাশরাফি এবং সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৭টি করে ম্যাচ।
৬ - রফিক
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। ৮ ম্যাচে তার উইকেট ৬টি। আব্দুর রাজ্জাক এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার আছে ৪টি করে উইকেট।
১৩/৩ - মোসাদ্দেক হোসেন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২০০৬ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ রানে ৩ উইকেট ছিল সাকিবের। উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচ ছাড়া আর কখনোই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটের দেখা পাননি সাকিব।
৪ - খালেদ মাসুদ
৮ ম্যাচে ৪ ক্যাচ খালেদ মাসুদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড এটাই। ৩ টি ক্যাচ নিয়ে দুইয়ে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
৬৬ ও ২৯১ - রফিক
সবচেয়ে বেশি ৬৬ ওভার এবং ২৯১ রান খরচ করেছেন মোহাম্মদ রফিক। দুইয়ে থাকা মাশরাফি বল করেছেন ৫৮ ওভার। খরচ করেছেন ২৬১ রান।
জেএ