ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় নাম, মিঠুন বললেন ‘সম্মান নিয়ে ছাড় নয়’

চলমান বিপিএলে ফিরেই ইতিবাচক অবস্থানে চিটাগং কিংস। ইতোমধ্যে চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেছে সুযোগ রয়েছে সেরা দুইয়ে উঠে আসারও। তবে এরই মধ্যে দেশের এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন আলির নাম। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আজ শুক্রবার নিজেদের ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় বলছিলেন মিঠুন, ‘ম্যাচ জেতার পর দিনশেষে কিন্তু আমার খুশি থাকার কথা। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাই, আমি শুধু ইউটিউব ফলো করি। এটাই একমাত্র অ্যাপস যেটাতে আমি টুকটাক খবর দেখি। বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।’
বিজ্ঞাপন
আরও যোগ করেন, ‘বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। আমার মানহানি মানে... কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না।’
বিজ্ঞাপন
‘সামির ভাই (চট্টগ্রামের মালিক) যেটা বলেছে মিডিয়াতে উনারা বলছে আকসু থেকে পেয়েছে। কই আকসু থেকে তো আমার কাছে কোনো প্রশ্ন করেনি। আমার নামে যদি কোনো অভিযোগ থাকে আকসু তো প্রথমে আসবে আমার কাছে। সে এসে আমাকে বলবে আপনার নামে এই ধরনের অভিযোগ আছে। এই ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে তো আসেনি। আমাদের দলের সাথেও তো আকসু আছে। প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে কিন্তু একজন করে আকসু প্রতিনিধি আছে। আমাকে প্রথম অ্যাপ্রোচ করেছে আমাদের দলের সঙ্গে যিনি (আকসু প্রতিনিধি) আছেন তিনি।’
‘উনি এসে আমাকে বলেছে ভাইয়া আমি খুব লজ্জিত অনুভব করছি। আপনি এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। উনার যদি আমার প্রতি ওতটুকু বিশ্বাস না থাকত তাহলে উনি এ কথা বলতো না। আমার বিশ্বাস তো আমি জানি কী বিশ্বাস আছে। কিন্তু আমাদের দলের সঙ্গে যে প্রতিনিধি দেয়া আছে উনারও আমার প্রতি কতটুকু বিশ্বাস উনি নিজেই বলছে আপনার জন্য...আমি কিন্তু উনার কাছে যাইনি, উনি এসেছে আমার কাছে। আমি যদি অপরাধী হই বা আমার মাঝে যদি এমন কিছু উনি দেখে তাহলে অবশ্যই উনি এসে আমাকে এই কথা বলতো না।’
এসএইচ/এফআই