এত জটিলতার পরেও কীভাবে এমন ‘দুর্বার’ রাজশাহী

মাঠের বাইরে নানা বিতর্ক। বিদেশি ক্রিকেটারদের ম্যাচ বর্জনের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সেসব পাশ কাটয়েই টানা তিন জয় দুর্বার রাজশাহীর। সর্বশেষ ম্যাচেও গতকাল ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। এমন জয়ে উঠে এসেছে প্লে-অফের দৌড়ে। মাঠের বাইরে সব রকমের সমালোচনা পাশ কাটিয়েই মাঠের ক্রিকেটে দুর্দান্ত তাসকিন আহমেদরা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের তরুণ ক্রিকেটার এস এম মেহেরব হোসেন জানালেন মাঠের খেলায় এমন দারুণ পারফরম্যান্সের কথা। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে যখন আমরা ঢুকি, মাঠের বাইরের ব্যাপার অত বেশি মাথায় থাকে না। বাইরের ব্যাপারে বেশি ফোকাস করলে সেটার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মাঠে। আমরা চেষ্টা করি মাঠের ব্যাপার মাঠেই যেন থাকে, মাঠের বাইরের ব্যাপার মাঠের বাইরেই যেন থাকে।'
তাসকিনের নেতৃত্বেই দল বদলে গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেরব বলেন, ‘এরকম না বিষয়টা। তখন হয়ত পারফর্ম করতে পারে নাই। শুরুতে একজন পারফর্ম করে তো দলকে জেতাতে পারে না। শুরুতে হয়ত সবাই পারফর্ম করতে পারছিল না, শেষ দিকে সবাই একসাথে পারফর্ম করাতে দলও জিতছে। পারফরম্যান্সটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন একেবারে শেষ দিকে এসে। নিজেকে প্রমাণ করা নিয়ে তরুণ মেহেরব বলেন, ‘সবার আগে ধন্যবাদ দুর্বার রাজশাহীর ম্যানেজমেন্টকে। আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে। আগেরবার ৪টা ম্যাচ সুযোগ পেয়েছি। সুযোগ কাজে লাগানোর দায়িত্ব ছিল আমার। আমি পারিনি সেটার ব্যর্থতার দায় আমিই নিয়েছি সবসময়। এখন আমার শুরু। আমি চেষ্টা করি সব ম্যাচে ভালো করার, কোনো সময় হয় কোনো সময় হয় না।’
ভালো করলেও মেহেরবকে নিয়ে হাইপ কম– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তার মন্তব্য, ‘না আমার কাছে এটা মনে হয় না একদমই। আমি যখন ভালো করব তখন আমাকে মানুষ চিনবে। সবসময় ভালো করব যখন তখন আমাকে মানুষ চিনবে। এটাই মূল লক্ষ্য থাকে ভালো করার। অবশ্যই ব্যাটিং নিয়ে যেভাবে ভেবেছিলাম সেভাবে শুরু করতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা। আমি চেষ্টা করেছি কীভাবে কামব্যাক করা যায় বা কীভাবে বড় ইনিংস খেলা যায়।’
এসএইচ/জেএ