মেসির সঙ্গে যেভাবে এমবাপের বিরোধ শুরু, জানালেন নেইমার

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপের আক্রমণত্রয়ী হতে পারত প্রতিপক্ষ শিবিরের জন্য ভয়ঙ্কর কিছু। যেমনটা বার্সেলোনায় ছিল এমএসএন-ত্রয়ী (মেসি-নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ)। কিন্তু সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় এমবাপের সঙ্গে বাকি দুই তারকার বিরোধের কারণে। মেসির সঙ্গে এই ফরাসি তারকার বিরোধ কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার।
বার্সেলোনা থেকে ২০২১ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। এরপর থেকেই নাকি আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নিয়ে ‘ঈর্ষাপরায়ণ’ হয়ে ওঠেন এমবাপে। সম্প্রতি আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও’র সঙ্গে পডকাস্ট আলোচনায় এই কথা জানিয়েছেন নেইমার। ৩২ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার পিএসজিতে মেসি-এমবাপের সঙ্গে খেলা চলাকালে ‘ইগো’ ইস্যু বড় হয়ে দাঁড়াত বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালে মেসি পিএসজি ছেড়ে আমেরিকান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামি এবং সৌদি আরবের আল-হিলালে যোগ দেন নেইমার। অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে পিএসজি ছেড়ে এমবাপেও যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। পডকাস্ট অনুষ্ঠানে ফরাসি তারকার যোগদানের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন সেলেসাও কিংবদন্তি রোমারিও। জবাবে নেইমার বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার কিছু বিষয় ছিল। ছোটখাটো ঝগড়াও হয়েছিল, যদিও (পিএসজিতে) যোগদানের শুরুতে বিষয়টি অন্যরকম ছিল। আমি তাকে ‘‘গোল্ডেন বয়’’ বলে ডাকতাম।’
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) January 17, 2025
মেসির আগমনের পরই এমবাপের সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে ‘ঈর্ষাকাতরতা’ চলে আসে বলে জানান নেইমার, ‘আমি সবসময় তার (এমবাপে) সঙ্গে মিলে খেলতাম, বলেছিলাম সে (ভবিষ্যতে) বিশ্বসেরাদের একজন হবে। আমিও তাকে (ম্যাচে) সহায়তা করতাম, কথা বলতাম, সেও আমার বাসায় আসত, একসঙ্গে রাতের খাবারও খেয়েছি। বেশ কয়েক বছর আমাদের মাঝে ভালো বোঝাপড়া ছিল, কিন্তু মেসি আসার পর সে ঈর্ষা করতে শুরু করে। সে আমাকে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চায়নি (হাসি)। এরপর কিছু বিবাদ এবং তার আচরণও বদলে যেতে থাকে।’
আরও পড়ুন
২০১৭ সালে আরেক ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপে। একই বছরের নভেম্বরে নেইমার দলবদল বাজারের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে ফরাসি ক্লাবটিতে নাম লেখান। পিএসজির লক্ষ্য ছিল– বড় তারকাদের সমন্বয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম শিরোপা জয়। কিন্তু তাদের মাঝেই লেগেছিল ইগোর যুদ্ধ। সে প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, ‘ইগো থাকা সমস্যার কিছু না, কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে আপনি একা খেলতে পারবেন না। আপনার পাশে আরেকজনকে লাগবে। ইগো ইস্যু সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল, কিছু করা যাচ্ছিল না। যদি কেউ না দৌড়ায়, সাহায্য না করে, আপনি কিছুই জিততে পারবেন না।’
২০২২-২৩ মৌসুমে পিএসজি লাগাতার খবরের শিরোনামে আসত তিন তারকার বনিবনা না হওয়া ইস্যুতে। মূলত মেসি-নেইমার ছিলেন একদিকে, আরেকপক্ষে এমবাপেসহ পিএসজির টিম ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন কর্মকর্তা। শেষদিকে নাকি মেসি-নেইমার থাকলে ফরাসি অধিনায়ক আর ক্লাবটির হয়ে না খেলার মতো শর্তও দিয়েছিলেন বলে সেই সময় জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম লেকিপে। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের দুই তারকা ফরাসি ডেরা ছেড়ে চলে যান ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে, এরপর এমবাপেও পিএসজিতে থাকেন মাত্র এক মৌসুম।
এএইচএস