খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী
লক্ষ্যটা একেবারে হাতের নাগালের না হলেও অসম্ভব কিছু ছিল না। ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই যেন পথহারা পথিক খুলনা টাইগার্স।টানা দুই জয়ের পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল মেহেদী হাসান মিরাজরা। অন্যদিকে, খুলনাকে হারিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল দুর্বার রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বি আর রায়ান বার্লের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল রাজশাহী। জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫০ রান তুলেছে খুলনা। ২৮ রানের জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়রা।
আজ (শুক্রবার) সিলেটে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে দুর্বার রাজশাহীকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা টাইগার্স। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস এবং জিসান আলমের কল্যানে উদ্বোধনীতে ৪৪ রানের জুটি হলেও মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দুর্বার রাজশাহী। একে একে বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও ওয়ানডাউনে নামা এনামুল হক। দ্রুত ফিরে গেছেন এসএম মেহরাব এবং জিসানও।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলী চৌধুরী এবং রায়ান বার্ল। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দুই ব্যাটারই ফিফটির পথে ছিলেন। যদিও পঞ্চাশের দোড়গোড়ায় গিয়ে ২৫ বলে ৪১ রানে সাজঘরে ফিরেছেন রাব্বি। অন্যদিকে ২৯ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল। শেষ দিকে ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন আকবর আলী। তাতে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যায় রাজশাহী।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই বিপদে ছিল খুলনা টাইগার্স। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্তোর উইকেট হারায় তারা। তিনে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ বলে ১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মিরাজ।
উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম শেখ। ২৮ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন তিনি। লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন আফিফ। টিকতে পারেননি তিনিও। আউট হয়ে গেছেন ৩০ বলে ৩৩ রান করে। মিডলঅর্ডারে নামা ইমরুল কায়েস ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ৬ বলে ১৭ রানে ফিরেছেন। শেষ দিকে কয়েকটি বাউন্ডারির মারে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ১৯.৩ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে খুলনা টাইগার্স।
রাজশাহীর হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী এবং রায়ান বার্ল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন জিসান আলম, এসএম মেহেরাব, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং শফিউল ইসলাম।
এফআই