পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়ে গর্বিত রাণী হামিদ-জামাল ভূঁইয়া
ক্রীড়াবিদরা দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত হন। তাদের কেউ কেউ অনেক তরুণ-তরুণীর চোখে আইকনও। সেই ধারাবাহিকতায় সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও দাবার কিংবদন্তি রাণী হামিদের নাম ‘স্পোর্টস পারসোনালিটি’ অংশে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।
জামাল ভূঁইয়ার বেড়ে ওঠা ডেনমার্কে। ইউরোপ থেকে এসে নিজেকে প্রমাণ করে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল দলে অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও প্রায় অর্ধযুগ তারই হাতে। প্রবাসী ফুটবলার কিংবা ক্রীড়াবিদদের বড় তারকা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও তিনি রোল মডেল।
জামাল ভূঁইয়া পারিবারিক কাজে ইউরোপে রয়েছেন। পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছেন জেনে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দূর দেশ থেকে, ‘আমি কখনও পাঠ্যবইয়ে স্থান পাব ভাবিনি। কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী আমাকে পড়বে ও দেখবে এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছি।’
অন্যদিকে, রাণী হামিদ বাংলাদেশের দাবায় প্রথম নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার। তার বয়স এখন ৮২। বয়সকে স্রেফ সংখ্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই দাবাড়ু। হাঙ্গেরি অলিম্পিয়াডে তিনি টানা পাঁচ রাউন্ড জিতে আলোড়ন তুলেছিলেন। রাণী হামিদের দাবার প্রতি নিবেদন সর্বজনবিদিত। পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল একজন আমাকে দেখিয়েছে আমার নাম ও ছবি পাঠ্যবইয়ে এসেছে। এটা এক ধরনের বড় স্বীকৃতি। শিক্ষার্থীরা খেলোয়াড়দের ত্যাগ-অবদান সম্পর্কে জেনে বড় হবে এবং তারা ক্রীড়াবিদদের সম্মান-মর্যাদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা পাবে।’
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে ক্রীড়াবিদদের স্থান পাওয়া অবশ্য নতুন নয়। এর আগে কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নামও ছিল। নতুন পাঠ্য বইয়ে তাদের বদলে জামাল ভূঁইয়া, রাণী হামিদ ও নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এজেড/এএইচএস