পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন নিয়ে নতুন শঙ্কা
হাতে গুণে সময় বাকি আর ৩৩ দিন। ১২ই ফেব্রুয়ারি আইসিসির কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে তিন ভেন্যু। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নির্ধারিত ভেন্যুগুলোর দিকে যেন ফিরে তাকানো দায়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি অনেকটা তড়িঘড়ি করেই শুরু করেছিলেন স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। লক্ষ্য ছিল করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম একেবারেই নতুন করে গড়ে তোলা হবে।
কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বিফলেও যেতে পারে নির্দিষ্ট সময়ে এসে। তিন স্টেডিয়ামের অবস্থা মোটেও সন্তোষজনক নয়। ঠিকভাবে সারানোর কাজও শেষ হয়নি। গ্যালারি, ফ্লাডলাইট, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ আউটফিল্ড প্রস্তুত নয় ম্যাচের জন্য। লাহরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্লাস্টারের কাজ অবধি শেষ হয়নি। তৈরি হয়নি করাচির ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়ামও।
গত বছরের আগস্টে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার ধারেকাছেও যায়নি পাকিস্তানের নির্মাতারা। সবশেষ পিসিবির ভিডিওতে উঠে এসেছে স্টেডিয়ামগুলোর ভগ্নদশার চিত্র।
পরিস্থিতি এতটাই নাজুক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ত্রি-দেশীয় সিরিজও সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ আগামী একমাসের মাঝে পুরো পরিবেশ ঠিক করার। বেশকিছু গণমাধ্যমের দাবি, পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাকিস্তান থেকে এই টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়া হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সবশেষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও ছিল ব্যাপক আকারের অবকাঠামোগত সমস্যা। ফ্লোরিডার গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামের জন্য দুশ্চিন্তা ছিল আইসিসির। তবে সেবারে যুক্তরাষ্ট্র বিপর্যয় সামাল দিতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাইই ঘটবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি মাঠ বুঝিয়ে দিতে হবে আইসিসিকে। টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারী দল ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। ৮ জাতির এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আগামী ৯ই মার্চ।
জেএ