হেলসের সেঞ্চুরিতে সিলেটের পাহাড় টপকে ছুটছে রংপুরের জয়রথ
ঢাকা পর্বে তিন ম্যাচ খেলে অপরাজিত ছিল রংপুর রাইডার্স। ফলে টেবিল টপার হয়ে সিলেটে পা রাখে রাইডার্সরা। ঘরের মাঠে রংপুরকে পেয়ে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে হেলসের সেঞ্চুরিতে সহজেই সিলেটের পাহাড় টপকে গেছে রংপুর। তাতে আসরে চার ম্যাচ খেলে অপরাজিতই থাকল নুরুল হাসান সোহানের দল। অন্যদিকে দুই ম্যাচ খেলে এখনো জয়হীন সিলেট।
ঘরের মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে সিলেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রনি তালুকদার। তাছাড়া জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রান। জবাবে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। রাইডার্সদের হয়ে অপরাজিত ১১৩ রান করেছেন হেলস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরের। বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ আজিজুল হাকিম তামিম। বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়ানো এই ওপেনার দুই ম্যাচে টানা ডাক খেয়েছেন। আজ ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারানো রংপুরের হাল ধরেন সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে ১৮৬ রানের জুটি গড়েন। সাইফ ৪৯ বলে ৮০ রান করেছেন। বাংলাদেশি এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করলেও ঠিকই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন হেলস।
৫৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেলস। আর ততক্ষণে ম্যাচেরও পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় তার দল। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই ইংলিশ ওপেনার। তার ইনিংসে ১০ চার ও ৭টি ছক্কার মার ছিল।
এর আগে ঘরের মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জজ মান্সির ব্যাটে দারুণ শুরু পায় সিলেট। ১২ বলে ১৮ রান করে মান্সি সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।
মান্সি ফেরার পরও রানের গতিতে ভাটা পড়েনি। তিনে নেমে রনির সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৩২ বলে ৫৪ রান করেছেন মান্সি। আর জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৫০ রান।
এদিন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন পল স্টার্লিং। ব্যাটিং পজিশন বদল করেও সুবিধা করতে পারেননি এই আইরিশ ব্যাটার। ১৬ বল খেলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
তবে মিডল অর্ডারে সিলেটের রানের গতি ঠিক রেখেছেন অ্যারন জোন্স। এক চার আর ৪ ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেছেন তিনি। শেষদিকে উইকেটে এসে রীতিমতো ঝড় তোলেন জাকের আলি। ৫ বল খেলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করেন তিনি। লোকাল বয়ের ক্যামিওতে সিলেটের রানও দুইশ স্পর্শ করে।
এইচজেএস